কোনও মৌলিক অধিকারই চূড়ান্ত নয়। নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকারেও যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) আইনি চ্যালেঞ্জের জবাব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। হ্যাঁ, নেটমাধ্যমে লেখালেখির উপর নজরদারি চালানোর বিধি কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। সংবিধানে লিপিবদ্ধ নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের উল্লেখ করেছে তারা। কিন্তু তাদের দাবি খারিজ করে কেন্দ্র জানাল, সব অধিকারের উপরই নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি।

বুধবার থেকে দেশে কেন্দ্রের ডিজিটাল নজরদারি বিধি চালু হয়েছে, যার আওতায় নেটমাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় লেখালেখি এবং ভিডিয়োর উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের নতুন বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। তাদের যুক্তি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের 'উৎস' ও প্রতিটি বার্তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট চাওয়ার মধ্যে কোনও ফারাক নেই। এর ফলে ভাঙবে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। লঙ্ঘিত হবে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তার অধিকার।

তবে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাখ্যাকে প্রাধান্য দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্করপ্রসাদ (Union IT Minister Ravi Shankar Prasad)। তাঁর কথায়,''সকল নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার রক্ষায় দায়বদ্ধ ভারত সরকার। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব। যে কোনও মৌলিক অধিকার, এমনকি ব্যক্তি পরিসরের স্বাধীনতাও চূড়ান্ত নয়। তার যুক্তিগ্রাহ্য নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।''  রবিশঙ্করের যুক্তি, হোয়াটসঅ্যাপের উপরও কেন্দ্রের বিধিনিয়ম কার্যকর হয়। কোন বার্তা কোথা থেকে আসছে, তা জানাতে বাধ্য তারা, যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষায় গুরুতর অপরাধ বিচার করে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায়, তাদের শাস্তি দেওয়া যায়।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: