আয়ারল্যান্ড ভালো খেললেও ইংল্যান্ডের হারে বৃষ্টির ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচ হলে ছবিটা অন্যরকম হতেও পারত। তাই আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে মোটেও খুশি হবেন না জোস বাটলাররা। তবে ইতিমধ্যেই ১টি করে ম্যাচ হেরে বসা অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ইংল্যান্ডের হারে ও নিউজিল্যান্ড পুরো পয়েন্ট না পাওয়ায়। ইংল্যান্ড জিতলে এবং নিউজিল্যান্ড পুরো ২ পয়েন্ট ঘরে তুললে সেমিফাইনালের দৌড়ে পিছিয়ে পড়তে হতো অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে। সেক্ষেত্রে তাদের শেষ চারে যাওয়ার আশা কমত সন্দেহ নেই।

অন্যদিকে, টান টান ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে বাজিমাত করল স্পেন। জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল তারা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। দু’দলই নিজেদের রক্ষণ সামলে আক্রমণে উঠছিল। ফলে গোল করতে পারছিল না কোনও দল। ম্যাচে আধিপত্য কিছুটা হলেও বেশি ছিল স্পেনের। বলের দখল তাদের বেশি ছিল। গোল লক্ষ্য করে শটও বেশি ছিল। কিন্তু গোল আসেনি। মার্টিনেজ, কামাচোরা অনেক চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধে গোলের দরজা খুলতে পারেননি। অন্য দিকে চেষ্টা করছিল জার্মানিও। স্টেনার, আলবেররা মাঝেমধ্যে প্রতিআক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরি করলেও স্পেনের বক্সের কাছে গিয়েই সেই আক্রমণ শেষ হয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই ফুটবল দেখা যায়। পরিবর্ত হিসাবে লুসিয়া আলভারেজ়কে নামান স্পেনের কোচ। তিনি নামার পর থেকে স্পেনের আক্রমণের গতি আরও কিছুটা বাড়ে। কিন্তু গোলের মুখ কিছুতেই খুলছিল না। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে। কিন্তু ৯০ মিনিটের মাথায় একক দক্ষতায় গোল করেন পরিবর্ত হিসাবে নামা সেই আলভারেজ়। সেখান থেকে আর খেলায় ফেরার কোনও সম্ভাবনা ছিল না জার্মানির। ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে স্পেন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: