মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নয়া সিদ্ধান্ত। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক স্তরের পাঠক্রমে থাকবে একটি বিশেষ অধ্যয়। মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলি পাঠক্রমে সাপ নিয়ে একটি অধ্যায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের  শিক্ষা দফতরের এক প্রবীণ আধিকারিক। এই পাঠক্রমে থাকবে যে কীভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের সাপ চিনতে শেখা উচিত, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের দেখলে কী করা উচিত এবং জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় তাঁদের কী ভূমিকা নেওয়া উচিত।
 পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বোর্ড সবসময় চায় রাজ্যের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশের জীব বৈচিত্র্যের সচেতনতা তৈরি করতে। পাঠক্রম কমিটির সভাপতি অভীক মজুমদার পিটিআইকে বলেন, বিষাক্ত এবং নির্বিষ সাপ, তাদের ল্যাটিন এবং সাধারণ নাম এবং আশেপাশে বা ঝোপঝাড়ে সাপ দেখার পরে কারও কী প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করে ওই অধ্যায়টি পড়ানো হবে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার পরিচালিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে একটি খসড়া পাঠক্রম তৈরি করা হয়েছে।
"আমরা মনে করি যে সাপ সম্পর্কে একটি বিশেষ অধ্যায় পড়ানো উচিত শিক্ষার্থীদের । ওই শিক্ষা থেকে প্রয়োজনে তাঁরা যাতে নিজেদের বাবা-মাকেও বিভিন্ন ধরণের সাপ সম্পর্কে সচেতন করতে পারে এই পাঠক্রম চালুর পিছনে সেটা অন্যতম উদ্দেশ্য । পাশাপাশি আমাদের পরিবেশের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সাপের ভূমিকা এবং বিষাক্ত প্রাণী সহ সরীসৃপদের হত্যা বন্ধ করার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কেও শিক্ষাদানের কাজ করবে ওই পাঠক্রম", বলেন অভীক মজুমদার।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: