১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তারজন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে হরমনপ্রীত কৌরদের। আর সেটার প্রতিফলন দেখাও যাচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজেও। গতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যেতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। এবার সেটার থেকে আরও একধাপ এগোতে চায় টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নিজেদের উজার করে  দিতে উদগ্রীব হরমনপ্রীত (Harmanpreet Kaur)-স্মৃতি মান্ধানারা (Smriti Mandhana)।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ভারতীয় দল। একঝলকে দেখে নিন কারা জায়গা করে নিয়েছে এই দলে।

ভারতীয় দল -
হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি ভর্মা, ইয়াস্তিকা ভাটিয়া, রিচা ঘোষ, জেমিমা রডরিগেজ, হারলিন দেওল, দীপ্তি শর্মা, দেবিকা বৈদ্য, রাধা যাদব, রেণুকা ঠাকুর, অঞ্জলি সর্ভানি, পুজা ভস্ত্রাকার, রাজ্যেশ্বরী গায়কোয়ার, শিখা পান্ডে
রিজার্ভ বেঞ্চে রয়েছেন- সবভিনেনি মেঘানা, স্নেহ রানা, মেঘনা সিং

ভারতীয় ব্যাটিং-এর মূল দায়িত্ব থাকছে স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি ভর্মা, জেমিমা রডরিগেজ, হরমনপ্রীত কৌরের ওপর। যেখানে ভারতীয় বোলিং-এর দায়িত্ব সামলাবেন রাজেশ্বরী গায়কোয়ার, পূজা ভস্ত্রাকার, দীপ্তি শর্মারা।

ভারতীয় দল রয়েছে গ্রুপ বি-তে। এই  গ্রুপের অন্যান্য দলগুলি হল- ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ফেব্রুয়ারি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করতে চলেছে ভারত।

উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৮ রানে শেষ হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে রিয়ানা ম্যাকডোনাল্ড করেন সর্বোচ্চ ১৯ রান। অ্যালেক্সা ১১, সোফিয়া ১১ এবং নিয়াম হোল্যান্ড করেন ১০ রান। বাকি ইংলিশ ব্যাটারদের রানসংখ্যা ডবল ডিজিট স্পর্শ করেনি। নিজের অনবদ্য বোলিং-এ তাক লাগিয়ে দেন তিতাস সাধু। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিতাস।এছাড়া অর্চনা এবং পারশাবি নেন দু’টি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। শেফালি বর্মা ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। সৌম্য তিওয়ারি ২৪ (অপরাজিত) এবং গোঙ্গাদি ২৪ রান করেন।ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে হান্না বেকার, স্ক্রিভেনস এবং স্টোনহাউস নেন একটি করে উইকেট। বিশ্বকাপে সিরিজ সেরা হন গ্রেস স্ক্রিভেনস। বিশ্বকাপ জয়ের পর হেড কোচ নুশিন আল খাদির বলেন, ‘দারুণ লাগছে বিশ্বকাপ জিতে। প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রম করেছিল। যার ফল আজ হাতে-নাতে পেল শেফালিরা।’

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ের রেশ এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা যায় কিনা সেটাই দেখার!

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: