লিগ জয়ের পথে আরও এক পা বাড়াতে আজ লিডস ইউনাইটেডের (Leeds United) মুখোমুখি হচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City)। ৩৩ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে ইপিএল (EPL) লিগ টেবিলে এক নম্বরে পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) দল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনাল (Arsenal) এক পয়েন্ট পিছনে আছে, কিন্তু তারা সিটির থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। ফলে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজে আছে ম্যাঞ্চেস্টারের ক্লাব। তারা যদি তারা দুটো ম্যাচ না হারলে আর্সেনালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

অথচ দিন ১৫-২০ আগেও ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সিটির থেকে পাঁচ-ছয় পয়েন্তের তফাতে এগিয়ে ছিল মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। কিন্তু ওয়েস্টহ্যাম, লিভারপুল (Liverpool) এবং সাউদাম্পটনের সঙ্গে ড্র করে মুশকিলে পড়েছে তারা। তিন ম্যাচ থেকে সম্ভাব্য ৯ পয়েন্টের জায়গায় মাত্র তিন পয়েন্ট পেয়েছিল তারা। ওই ছয় পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল। আর্সেনালের কোচ, ফুটবলার থেকে সমর্থকরা আজ মনে মনে লিডসের হয়ে প্রার্থনা করবেন বলাই বাহুল্য।

অবনমনের আশঙ্কায় থাকা লিডস দুর্ধর্ষ সিটির বিরুদ্ধে আদৌ কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে সেটাই প্রশ্ন। বিশেষ করে বড় বড় দল যেখানে পাত্তা পাচ্ছে না। তার উপর সিটির দলে রয়েছেন এর্লিং হালান্ড (Erling Haaland) যিনি ইংলিশ ফুটবলের সমস্ত গোলস্কোরিং রেকর্ড ভেঙে চুরমার করছেন। গত বুধবার ইংলিশ লিগে এক মরশুমে সর্বোচ্চ ৩৫ গোল করেছেন তিনি। এখন ৩৮ ম্যাচের লিগ হয়, সেই ফর্ম্যাটে মহম্মদ সালাহর ৩২ গোলের রেকর্ড ক’দিন আগেই ভেঙেছিলেন। আগে ৪২ ম্যাচের ফর্ম্যাটে খেলা হত। তাতেও অ্যান্ড্রু কোল (Andrew Cole) এবং অ্যালান শিয়ারের (Alan Shearer) ৩৪ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন হালান্ড। এবং তিনি এই ৩৫ গোল করতে নিয়েছেন মাত্র ৩১ ম্যাচ।

সবধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৫১ গোল করে ফেললেন ম্যান সিটি তারকা। ইপিএলে ৩৫ গোল ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (UCL) ১২ গোল, এফএ কাপে (FA Cup) ৩ গোল, ইএফএল কাপে ১ গোল আছে তাঁর। বাকি সম্ভাব্য নয় ম্যাচে আর ১৩ গোল করতে পারলেই ইংলিশ ফুটবলের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দেবেন হালান্ড। ১৯২৭-২৮ মরশুমে এভার্টনের সেন্টার ফরোয়ার্ড ডিক্সি ডিন (Dixie Dean) সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে মোট ৬৩ গোল করেছিলেন। ১০০ বছর হতে চলল, এ রেকর্ড এখনও অক্ষত, হালান্ড ভাঙতে পারেন কি না সেটাই দেখার।  

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: