কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জন্য এখনই ঝড় বৃষ্টির (Rain) কোনও পূর্বাভাস নেই ঠিকই। তবে এরইমধ্যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) মোচা (Mocha) নিয়ে নয়া তথ্য দিল হাওয়া অফিস (Weather Office)। যে ঘূর্ণাবর্ত থেকে এই মোচার সৃষ্টি হওয়ার কথা, শনিবার তা তৈরি হওয়ার কথা ছিল। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে। ৮ মে নিম্নচাপে পরিণত হবে এই ঘূর্ণাবর্ত। ৯ মে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরের দিন তার প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও তার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটারও হতে পারে। মোচার আশঙ্কায় রাজ্য প্রশাসন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাকেই সতর্ক করে দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশ কিছু দফতরকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার নিম্নচাপ তৈরি হলে তা আরও ঘনীভূত হয়ে সোমবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর পর আরও শক্তি সঞ্চয় করে তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে উত্তর দিক বরাবর মধ্য বঙ্গোপসাগরে দিকে অগ্রসর হবে। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা দেখা দিয়েছে, যার অবস্থান সিকিম থেকে উত্তর ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে প্রায় ৩৯ ডিগ্রি। শুধু তাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে আশঙ্কার মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি। আগামী সাত দিন তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

উত্তরবঙ্গে (North Bengal) তাপমাত্রার (Temparature) দাপট সামান্য কমবে। ডুয়ার্স এলাকার জেলাগুলি এবং দার্জিলিং এর আসে পাশের অঞ্চল গুলি সামান্য স্বস্তি পাবে। উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই রবিবার বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে এবং ওইসব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। সেইসঙ্গে দার্জিলিং এবং তার পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করার কথা। শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রির মধ্যে।

অন্যদিকে, এই নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে পারে আন্দামান নিকোবরে।  রবিবার থেকেই সেখানে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেপর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। রবিবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ৯০ এমনকী, কোনও কোনও এলাকায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: