ডুরান্ডের (Durand) প্রথম ম্যাচেই টালমাটাল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। বাংলাদেশ আর্মির (Bangladesh Army) বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করল তারা। প্রথমার্ধে একের পর এক সুযোগ পেলেও, তা কাজে লাগাতে পারেনি লাল-হলুদ বাহিনী। ম্যাচের ৬ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে মন্দার দেশাই-এর বাড়ানো বল যায় মহেশের পায়ে। বাঁ-দিক থেকে ক্রস রাখেন মহেশ। সিভেরিয়োর বল জালে জড়ালেও গোল বাতিল করেন রেফারি। হ্যান্ড বলের জন্য হলুদ কার্ড পান তিনি। এরপর ২৩ মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন নন্দকুমার। তখনও দর্শক আসন খেকে শোনা যাচ্ছিল ‘ইস্টবেঙ্গল ইস্টবেঙ্গল’ স্লোগান। ম্যাচের ৩২ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সল ক্রেসপো কোনও ভুল করলেন না আর। জালে বল জড়িয়ে দলকে ১-০ তে এগিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই হেড দিয়ে দুর্দান্ত গোল করেন সিভরিয়ো। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির আগেই সব ফুটবলারকে এদিন ঝালিয়ে নিলেন লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। ৬৪ মিনিটে তিনটি পরিবর্তন করেন তিনি। সল ক্রেসপোর বদলে মাঠে নামেন বোরহা হেরেরা, গুইতের জায়গায় মোবাসির এবং সিভেরিওর বদলে ভিপি সুহের। কিন্তু এরপরই  লাল কার্ড দেখেন নিশু কুমার। এরপর থেকে পুরো ম্যাচ ১০ জন ফুটবলারকে নিয়েই খেলতে হয় লাল-হলুদ বাহিনীকে। ৭৪ মিনিটে নন্দকুমারকে তুলে নেন কোচ। নামানো হয় গুরনাজ সিং-কে। গত মরসুমে ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলেন  নন্দকুমার। রবিবারের ম্যাচে সেই ছন্দে দেখা গেল না তাঁকে।

গতকাল শহরে পা রেখেছেন অজি ডিফেন্ডার জর্ডান এলসি। আজ তাঁকেও মাঠে নামিয়ে দেন লাল-হলুদ কোচ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে তাল কাটছিল ইস্টবেঙ্গলের। জর্ডানের  ভুলে ৮৬ মিনিটে গোল করে দলকে ২-১ এগিয়ে বাংলাদেশ আর্মির মহম্মদ ইমন। অতিরিক্ত সময়ে আরও একটি গোল করে সমতা ফেরান মিরাজ প্রধান। ২-২ তেই ম্যাচ শেষ হয়। প্রসঙ্গত, এরপরের ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলকে মুখোমুখি হতে হবে মোহনগানের। ১২ অগাস্ট মরসুমের প্রথম ডার্বি। তার আগে লাল-হলুদ সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: