একনিষ্ঠ সহকর্মীকে হারানো যে অপূরণীয় ক্ষতি তা জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই সুষমা স্বরাজের বাসভবনে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সেই আবেগ আর ধরে রাখতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী। ক্যামেরায় ধরা পড়ল তাঁর চোখে জল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন মুখে হাত চেপে। সত্যিই তো নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক পথচলাটা কম দিনের নয়। অটলবিহারীর সময়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব তিনি যেভাবে সামলেছিলেন তাতে তিনি সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এরপর মোদী জমানায় তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় বিদেশ মন্ত্রকের। দায়িত্ব নেওয়ার পরই দপ্তরকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন তিনি। তবে শারীরিক অসুস্থার জন্য বিগত লোকসভা নির্বাচনে মাঠের লড়াই থেকে নিজে থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুষমা স্বরাজ। তবে দলের যে কোণ বিষয়ে সমর্থন দিয়েছেন আগাগোড়া। তাই তো সুষমা স্বরাজের শেষ ট্যুইটও সেরকম। ৩৭০ প্রসঙ্গে ট্যুইট করেছিলেন, এই দিনটা দেখার জন্যে অপেক্ষা করেছি আজীবন। ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। আর যখন দিল্লির এআইএমএসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন সুষমা স্বরাজ, এই খবরটা যখন বেরলো তখন নরেন্দ্র মোদীও ট্যুইট করলেন, ‘‘সুষমা স্বরাজ দুর্দান্ত বক্তা ও অসাধারণ সাংসদ ছিলেন। দল নির্বিশেষে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল।’’ আর এদিন সকালে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আবেগের কাছে হেরে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। সহকর্মীকে হারনোয় চোখে জল ধরা দিল টেলিভিশনের ক্যামেরায়।  

 

এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সুষমা স্বরাজের মরদেহ তাঁর বাসভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রাখার পর শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় লোদা ঘাটে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পূর্ণ হয় সুষমা স্বরাজের শেষকৃত্য।

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: