মাত্র ৬ মাসের ব্যবধান। আর তাতেই পাল্টে গেল রাজ্য রাজনীতির ছবি। যে দু’টি বিধানসভা অর্থাৎ কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর আসন থেকে গত লোকসভায় লিড পেয়েছিল বিজেপি, সেই দু’টি আসন তো হারাতে হলোই সঙ্গে করিমপুরও হারতে হলো। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে খড়গপুর সদরে ২৪ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপির। প্রায় ৯ শতাংশ ভোট কমেছে কালিয়াগঞ্জে। অবশ্য ২ শতাংশ ভোট বেড়েছে করিমপুরে। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলের কাছে ফিরে আসার লড়াই সফল। তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনটিতেই জয় পেয়েছে শাসক দলের প্রার্থীরা। আর বিজেপির হার নিয়ে বঙ্গ বিজেপির কোর টিমও এই ফলের বিশ্লেষণে বসেছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে কলকাতায় আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। সেই সফরসূচিতে দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে শাহ বৈঠক করতে পারেন।
তবে সব হিসাব ইভিএমেই শেষ নয়। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তৃণমূলের। পোস্টাল ভোটে উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রেই হেরেছে তৃণমূল। জিতেছে বিজেপি।
করিমপুর :
বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী গোলাম রাব্বি পোস্টাল ভোট পেয়েছেন তিনটি।
তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় পেয়েছেন ১২টি পোস্টাল ভোট।
বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার পেয়েছেন ৫৮টি
কালিয়াগঞ্জ :
বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারের পোস্টাল ভোট ১৫টি ভোট
তৃণমূল প্রার্থী তপনদেব সিংহ পেয়েছেন ১১টি ভোট।
জোট প্রার্থী হিসাবে ধীতশ্রী রায় পেয়েছেন মাত্র তিনটি পোস্টাল ভোট।
খড়গপুর সদর :
বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা পেয়েছেন ২৭টি পোস্টাল ভোট
তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার পোস্টাল ভোট পেয়েছেন মাত্র ৪টি
জোট প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন মণ্ডল পেয়েছেন মাত্র ২টি পোস্টাল ভোট
click and follow Indiaherald WhatsApp channel