পুজোর পর থেকেই রাজ্য করোনার গ্রাফ উপরের দিকে উঠছে। আপাতত মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করে মানুষকে সচেতন করা হবে। পাশাপাশি চালানো হবে প্রচার। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিসকেও করোনা বিধি কড়া হাতে লাগু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৮০৫। ওই সময়ের মধ্যে কলকাতার ২২৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কলকাতা শহরের আশপাশের জেলাগুলির মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্ত ১৪২। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬৯, হাওড়ায় ৬৭, হুগলিতে ৬২ জনের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। নদিয়ায় আক্রান্ত আরও ৪৫ জন। এ ছাড়া, রাজ্যের প্রায় সবক’টি জেলায় কমবেশি নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৬০ জনের করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৬৯। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতার বাসিন্দা ২ হাজার ১ জন। প্রসঙ্গত, সংক্রমণে রাশ টানতে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলায় দে়ড়শোর বেশি এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও এর দৈনিক হার বেড়ে হয়েছে ২.৭৭ শতাংশ। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ১০৯টি পরীক্ষা করা হয়েছে। যা আগের দিনের (৪২,৬২২) থেকে অনেকটাই কম।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: