মৌসুম ভবনের তরফে জানান হয়েছে জুনের বৃষ্টির ঘাটতি মেটার লক্ষণ নেই মধ্য জুলাইয়েও। আগামী ৫ দিনে সেই ঘাটতি আরও কিছুটা বাড়বে। কাল থেকে উপকূলের জেলায় তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি বৃষ্টি। ওড়িশা উপকূলে তৈরি নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রে হাওয়ার গতিবেগ ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি যাবে। ফলে আজ থেকে ১৫  জুলাই পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা।

তবে হাওয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে, বাংলায় ধীরে ধীরে শক্তি ফিরে পেতে পারে বর্ষা। ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলে ইতিমধ্যেই সুষ্পষ্ট একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আবহবিদদের অনুমান, ওই নিম্নচাপের জেরে বাংলায় বর্ষার ক্ষমতা কিছুটা বাড়লেও বাড়তে পারে। তবে একই সঙ্গে আবহবিদেরা এ-ও জানিয়েছেন যে বঙ্গে বর্ষার পুরোদমে শুরু হতে হলে বাংলার উপকূলের কাছাকাছি কোনও এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি হওয়া দরকার। তবেই বর্ষার অঞ্জনঘন মেঘ স্থায়ী হবে আকাশে। দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের ওই নিম্ন চাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে ১৫ জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত। সমুদ্রে উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই সময় জোরে হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। তাই শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য অঞ্চল বাদে বাকি ডুয়ার্স ও সমতল উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কমবে। তাপমাত্রা ২ থেকে ৩  ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে। অন্যদিকে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়বে।  অস্বস্তি বহাল থাকবে। তীব্র ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে দিনের তাপমাত্রা ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস । রাতের তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক  ৯২ শতাংশ। যার জেরে ঘাম ও গরমের অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। আলিপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৬ মিলিমিটার।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: