দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। এদিনে ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত ও কেএল রাহুল ৯৬ রানের বড় পার্টনারশিপে ভারতের হয়ে মজবুত ভিত গড়ে দেন। সেই ভিতেই ইমারত গড়েন সূর্যকুমার যাদব ও বিরাট কোহলি। রোহিত এদিন ৪৩ ও রাহুল ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু এদিন সূর্যকুমার বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। মাত্র ১৮ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন সূর্যকুমার যাদব। কোহলি ও সূর্য তৃতীয় উইকেটে শতাধিক রানের পার্টনারশিপও গড়েন। তবে দুর্ভাগ্যবশত ভুল বোঝাবুঝির জেরে মাত্র ২২ বলে ৬১ রান করেই রান আউট হতে হয় সূর্যকুমারকে। কোহলি অবশ্য ৪৯ রানেই অপরাজিত থেকে যান। দীনেশ কার্তিক ১৭ রান করেন। ভারত তিন উইকেটের বিনিময়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩৭ রান তোলে।

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ইতিহাসে অনন্য নজিরও গড়ে ফেললেন সূর্য। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কলিন মুনরোদের টপকে বলের নিরিখে দ্রুততম হাজার রান করার বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন এই টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সূর্য ২২ বলে ৬১ রান করেন। সেই সঙ্গে তিনি এ দিন টি-টোয়েন্টিতে হাজার রানও পূরণ করেন। সূর্যকুমার মাত্র ৫৭৩ বলে ১০০০ রান পূরণ করে ফেললেন। যেটা বলের নিরিখে দ্রুততম। তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৭৪.০০। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন 'ম্যাড ম্যাক্স'। তিনি ৬০৪ বলে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রান করেছেন। তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৬৬.০০। তৃতীয় স্থানে থাকা কলিন মুনরো ৬৩৫ বলে হাজার রান করেন। মুনরোর স্ট্রাইকরেট ১৫৭.০০। ৬৪০ বলে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রান করেছেন এভিন লুইস (স্ট্রাইকরেট ১৫৬.০০)। থিসারা পেরেরা আবার ৬৫৪ বলে ১৫৩.০০ স্ট্রাইকরেটে এই হাজার রান পূরণ করেছেন। তবে সবাইকে এ দিন ছাপিয়ে গেলেন সূর্য।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: