বহু ডামাডোলের পর অবশেষে কেন্দ্রীয় রেল দপ্তরের কোনো মন্ত্রীর উদ্বোধন ছাড়াই চালু হয়ে গেল বর্ধমানের রেলব্রীজ। যদিও ব্রীজের ওপর যানবাহন চলাচলের জন্য সিগন্যালিং সিস্টেম বা পরিবহণ দপ্তরের বিভিন্ন মোটরভেহিকেলসের নিয়ম সংক্রান্ত সাংকেতিক চিহ্ন এখনও এই রেলব্রীজের পথে দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এদিন থেকেই পুরোদমে রেলব্রীজের উপর যাতায়াত শুরু হয়ে গেছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনই মোটরবাইক বা দুচাকা ও তিনচাকার যান এই নতুন ব্রীজের ওপর দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। দুচাকা ও তিনচাকার যান আরও কিছুদিন পুরনো ব্রীজ দিয়েই যাতায়াত করবে। 
তিনি জানিয়েছেন, চর্তুমুখী ব্রীজের ওপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদেরও অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এখন দুচাকা ও তিনচাকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩টি সিফটে ৮০জন ট্রাফিক পুলিশ কর্মরত থাকছেন এই ব্রীজে। এদিকে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বীরসিংহ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই রেলব্রীজের উদ্বোধন করার পর শুক্রবার থেকে মমতা বন্দোপাধ‌্যায়ের নামে ফলক লাগানো হয়েছে। মোট ১৬টি ফলক লাগানো হচ্ছে। 
অন্যদিকে, জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মমতা বন্দোপাধ্যায় উদ্বোধন করার পর রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারী করে জানানো হয়েছিল শুক্রবার এই ব্রীজের উদ্বোধন করবেন রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি। কিন্তু তা বাতিল করা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয়। এরপর শুক্রবার সকালে এই রেলব্রীজ নির্মাণকারী সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের পক্ষ থেকে রেলের হাতে ব্রীজের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দেয়, এখন যানচলাচলের জন্য কোনোরকম অসুবিধা নেই। পুরোপুরি ফিট এই ব্রীজ। এরপরই শুক্রবার সকালে বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর নেতৃত্বে বিজেপি নেতৃত্বরা মোটরবাইক রেলি করেন ব্রীজের ওপর দিয়ে। যদিও সকালের দিকে কিছুক্ষণ বাইক চলাচল করলেও বেলার দিকে আস্তে আস্তে তা বন্ধ করা হয়। 
একইসঙ্গে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড তাদের ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে শুরু করে। এরপরই বিকালের দিক থেকে পুরোপুরি চালু করে দেওয়া হয় ব্রীজের চলাচল। যদিও ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে, এখনও ব্রীজে রাম্বেল স্ট্রীপ এবং ফ্লেক্সিবেল রোড ডিভাইডার লাগানোর কাজ বাকি থাকায় দুচাকা বা তিন চাকা এবং হেঁটে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে ব্রীজের পাশে যে সিঁড়ির মাধ্যমে ওঠানামা করা হবে তা এখনও সম্পূর্ণ না হওয়ায় হাঁটাচলায় নিষেধাজ্ঞা জারী রাখা হয়েছে। এগুলি বসানোর পর পুরোপুরি সকলের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে রেলব্রীজ। স্বাভাবিকভাবে পুজোর আগেই বহু প্রতীক্ষিত এই চতুর্মুখী রেলব্রীজ সম্পূর্ণ রূপে চালু হয়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে বর্ধমানবাসী।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: