আরবিআই ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছিল যে আগামী তিন মাস গ্রাহকদের কোন ইএমআই দিতে হবেনা, যা অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল ঋণগ্রাহকদের মধ্যে। সেই মতো নির্দেশিকা জারি করেছে ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু তাতে অনেক গ্রাহকই ধোঁয়াশায়। আবার ইএমআই তিন মাসের জন্য দিতে না চাইলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে গ্রাহকদেরই।
অন্য দিকে অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ইএমআই মকুব হলেও এই তিন মাসের সুদ গুণতে হবে গ্রাহকদের। ফলে গ্রাহকদের অনেকেরই অভিযোগ, সুদ গুণতে হলে কার্যত ইএমআই স্থগিতের সুবিধা নিয়ে কার্যত কোনও লাভই হবে না। তা ছাড়া যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলা হয়েছে, তাও অনেক জটিল বলেই অভিযোগ অনেকের।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে তিন মাসের জন্য ইএমআই স্থগিত রাখার অনুমোদন দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পয়লা মার্চ থেকে সেই নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের মেসেজ বা ইমেল পাঠিয়ে সেই বার্তা দিয়েছে। কিন্তু এক এক ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন নিয়ম। কেউ জানিয়েছে, গ্রাহকদের ইমেল করে জানাতে হবে। কোথাও ফোন করে, বা ব্যাঙ্কে গিয়ে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র জমা দিলে তবেই ছাড় মিলবে।
অধিকাংশ সরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শাখায় গিয়ে আবেদদনপত্র জমা দিতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট শাখায় গিয়ে বা ইমেলের মাধ্যমে আবেদন করার সুবিধা। তবে রাজ্যভিত্তিক ইমেল অ্যাড্রেস আলাদা। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের সরাসরি ব্যাঙ্কে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। ইমেল বা ফোনের বিকল্প নেই। ব্যাঙ্ক অব বরোদা এবং কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কেও দুই সুবিধাই রয়েছে।
বেসরকারি ব্যাঙ্কের মধ্যে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে ব্রাঞ্চে গিয়ে, বা ফোন কলের মাধ্যমে কিংবা আবেদন করা যাচ্ছে। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কেও প্রায় একই পদ্ধতি। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই গ্রাহক কিছু না জানালে আগের মতোই নির্দিষ্ট তারিখে কেটে নেওয়া হবে ইএমআই।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel