আজ রাত ৯ টায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ৯ মিনিটের জন্য ঘরের আলো নিভিয়ে রেখে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে 'মহাশক্তি'কে জাগ্রত করতে বলেছেন।  কিন্তু আচমকা গোটা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গিয়ে আবার ৯ মিনিট পরে বেড়ে গেলে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, ওই ৯ মিনিট কি ঘরের এসি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপও বন্ধ রাখতে হবে? শনিবার দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চর্চার পরে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক জানায়, প্রধানমন্ত্রী শুধু আলো নেভানোর কথাই বলেছেন, অন্য কোনও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বন্ধ করার কথা নয়।

 

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ বলছেন, সাবধানের মার নেই। ওই ৯ মিনিট টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ রাখাই ভাল। তাই না-হলে আচমকা ভোল্টেজের ওঠানামায় দেহ রাখতে পারে আপনার সাধের যন্ত্রটি। লকডাউনের বাজারে সেটি সারানোর মিস্ত্রিও আপনি পাবেন না!

 

তবে এসি, ফ্রিজ, টিভি বন্ধ রাখলে সামগ্রিক ভাবে জটিলতা বাড়বে বই কমবে না। কারণ, তখন বিদ্যুতের চাহিদা আরও কমে যাবে। ফলে কঠিন হবে গ্রিডের প্রয়োজনীয় ফ্রিকোয়েন্সি ধরে রাখা। যদিও কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক শনিবার দাবি করেছে, দেশের গ্রিড ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী। বিদ্যুতের চাহিদার ওঠা-নামা মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য, আজ রাত সাড়ে আটটার পর থেকে জাতীয় গ্রিডের ন্যূনতম ফ্রিকোয়েন্সি ৪৯.৯০ হার্ৎজে ধরে রাখা।

 

বিদ্যুৎ মন্ত্রক আশ্বস্ত করলেও আজ রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ধাপে ধাপে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। গ্রিড ব্যবস্থা ভেঙে গিয়ে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী নিতিন রাউতও।   

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: