কর্ণাটকে বিদ্রোহী ১৭ জন বিধায়কের সদস্য পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন স্পীকার কে আর রমেশ । এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন খারিজ হওয়া বিধায়করা । কিন্ত আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পীকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে এদের সকলের সদস্য পদ খারিজ করে দিয়েছেন এবং আবেদন খারিজ করে দিয়েছে । তবে, ওই বিধায়কদের স্বস্তি দিয়ে তাঁদের আসন্ন উপনির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রায় দিতে গিয়ে বুধবার শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, ‘‘সংসদীয় গণতন্ত্রে নীতিবোধ বিষয়টি সরকার ও বিরোধীদের সঙ্গে সমান ভাবে জড়িয়ে রয়েছে।’’
গত জুলাই মাসে দলত্যাগ বিরোধী আইনে কংগ্রেসের ১৪ জন এবং জেডিএসের ৩ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন স্পিকার। একই সঙ্গে, ২০২৩ সাল অর্থাৎ বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ পর্যন্ত তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন স্পিকার। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান বিদ্রোহীরা। পাল্টা আদালতে যায় কংগ্রেস এবং জেডিএস-ও। সেই মামলার রায়ই এ দিন দিল শীর্ষ আদালত।
কর্নাটকের ওই ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫ আসনে আগামী ৫ ডিসেম্বর উপনির্বাচন হতে চলেছে। মোট ২২৪ আসনের বিধানসভায় এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৬ বিধায়ক। বিরোধী জেডিএস এবং কংগ্রেস জোটের হাতে রয়েছে ১০০টি আসন। কর্নাটকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা ধরে রাখতে গেলে ১৫টি আসনের উপনির্বাচনে অন্তত ৬টি-তে জিততেই হবে বিজেপিকে। বিভিন্ন সূত্রের মতে, কংগ্রেস বা জেডিএস ছেড়ে বেরোনো বরখাস্ত হওয়া বিধায়করাই বিজেপির হয়ে প্রার্থী হবেন।
২০১৮ সালে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। ২২৪ আসনের মধ্যে ভোট হয় ২২২টিতে। ১০৪টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হয় বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেস (৭৮ আসনে জয়ী) এবং জেডিএস (৩৭ আসনে জয়ী) মোট ১১৫ আসন পেয়ে জোট সরকার গঠন কর। পরে ২টি আসনের নির্বাচনে ১টিতে কংগ্রেস এবং ১টিতে জেডিএস জয়ী হয়।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: