দীর্ঘ ৬ বছর আদালতের চক্কর দিয়ে অবশেষে ন্যায় মিললো। সাজা পেল খুন ও ধর্ষনকারীরা। ২০১৪ সালে বলাগড়ে নৃশংসভাবে খুনের পর মৃত নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবককে ফাঁসির সাজা দিল হুগলির চুঁচুড়া আদালত। গোটা ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে চিহ্নিত করে এই প্রথম জোড়া ফাঁসির সাজা নথিভুক্ত হল চুঁচুড়া আদালতে।
সোমবার আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয় কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল অভিযুক্ত গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে ফাঁসির সাজা শোনান। এই মামলায় আরও এক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় সেটি এখন উত্তরপাড়া জুভেনাইল আদালতে বিচারাধীন। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায় শুনতে এদিন আদালত কক্ষে ভিড় জমিয়েছিলেন মৃতার পরিজন থেকে স্থানীয় মানুষ। আদালত বসার আগেই অনেকে ‘ফাঁসি চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। রায় শোনার পর মৃতার বাবাকে মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। বিচারক সাজা শোনানোর পর তাদের কথা শুনতে চাইলেও তারা কোনও মন্তব্য করেনি।
২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ১১ বছরের স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছিল তিনজন। এরপরে হুগলির বলাগড়ের একটি নার্সারির ভিতরে তাকে যৌননিগ্রহ করে তাকে খুন করা হয়। এরপর মৃতার মোবাইল থেকে তার বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ চেয়ে স্থানীয় হোটেলে নিশ্চিন্তে খাবার খায় অপরাধীরা। ভোরে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলার আগে মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল ধর্ষকরা। তারপরে মৃতদেহ বস্তায় ভরতে না পারায় কোদাল দিয়ে দেহটি খণ্ডবিখণ্ড করে বস্তায় ভরা হয়েছিল। বস্তাবন্দি সেই মৃতদেহ পরে গঙ্গার চর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel