ফের এক বিজেপি কর্মীর দেহকে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দাঁতন। এক কথায় আবারও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি। তৃণমূল অবশ্য বলছে, এটি একটি আত্মহত্যা। যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তিনি বিজেপি কর্মীও ছিলেন না বলে জেলা তৃণমূলের দাবি। কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে দাঁতনে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পরে যাঁদের বিরুদ্ধে তৃণমূল অভিযোগ দায়ের করেছিল, মৃত বর্ষা হাঁসদা (৩৮) তাঁদের অন্যতম। জেলা বিজেপি সভাপতি এ দিন বলেছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্তোষপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের একটা পিকনিক ছিল। পিকনিকের পরে রাতে আর বর্ষা হাঁসদা বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মিলল।’’ রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকজনই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। খুন করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁরা দাবি করছেন।

 

লোকসভা নির্বাচনের আগে কিন্তু প্রায় একই ভাবে একের পর এক বিজেপির কর্মীর ঝুলন্ত দেহ মিলতে শুরু করেছিল পুরুলিয়া থেকে। ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার এবং শিশুপাল সহিস— দু’জনের দেহ মিলেছিল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়, আর এক জনের দেহ ঝুলছিল হাইটেনশন লাইনের টাওয়ার থেকে। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও তীব্র আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে। ভোট মেটার মাস ছয়েক পরে ফের দাঁতনে একই রকম ভাবে ঝুলন্ত দেহ মিলল।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: