তেলেঙ্গানার পর এবার যোগী রাজ্যের উন্নাওয়ে তে ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার মৃত্যুকে ঘিরে ক্ষোভে, প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে উন্নাও। উত্তর প্রদেশের বিধান ভবনের সামনে শনিবার সকাল থেকেই ধর্নায় বসেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমাজবাদী পার্টি (সপা) নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। ধর্না শুরুর আগে ধর্ষিতার জন্য দু’মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উন্নাওয়ে সকালেই ধর্ষিতার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ও দিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ দিন জানিয়েছেন, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উন্নাওয়ের গণধর্ষণ মামলাটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এ বার ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে। আশ্বাস দিয়েছেন, “অপরাধীরা চরমতম শাস্তি পাবে।’’কিন্তু গণধর্ষিতার জন্য কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল না, সেই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এ দিন উন্নাওয়ে পৌঁছেই এই প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। বলেছেন, “যাঁরা প্রথমে এফআইআর নিতে অস্বীকার করেছিলেন সেই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে যোগী আদিত্যনাথের সরকার কেন এখনও কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি?’’মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি মর্মাহত।’’ বিচার মন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, “মামলাটিকে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আজ আদালতে আর্জি জানাব। আমরা আদালতে মামলার রোজ শুনানিরও আর্জি জানাব। যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় মামলার। অপরাধীরা দ্রুত শাস্তি পায়।’’
ধর্নামঞ্চ থেকেই সপা নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব জানিয়েছেন, দু’-এক দিনের মধ্যেই তিনি যাবেন ধর্ষিতার বাড়িতে। তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। সঙ্গে তাঁর দলের অন্য নেতারাও যাবেন বলে জানিয়েছেন অখিলেশ। ধর্নামঞ্চে অখিলেশের সঙ্গী হয়েছেন প্রবীণ সপা নেতা রাজেন্দ্র চৌধরী ও দলের রাজ্য শাখার প্রধান নরেশ উত্তম পটেল।
উন্নাওয়ে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর প্রশ্ন, “উন্নাওয়ে এর আগেও এমন ঘটনা (ধর্ষণ) ঘটেছে। তার পরেও কেন এ বার রাজ্য সরকার সতর্ক হল না। কেন এ বারের গণধর্ষিতার জন্য নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি? আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে কেন প্রাণ হারাতে হল গণধর্ষিতাকে?’’
click and follow Indiaherald WhatsApp channel