সপ্তমী এবং অষ্টমীতে দক্ষিণবঙ্গের দশ জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর ফলে রবিবার পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আজ পঞ্চমীতে কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে। পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। পাশাপাশি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে।  বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

অন্যদিকে, মহালয়ার পর থেকে শহরের বড় পুজোগুলির দরজা খুলে যাওয়ায় ভিড় উপচে পড়ছে মেট্রোয়। অফিসযাত্রী ও পুজোর বাজার করতে বেরোনো লোকজন ছাড়াও দর্শনার্থীদের ভিড় জনস্রোতের চেহারা নিচ্ছে। দমদম, কালীঘাট, এসপ্লানেডের মতো স্টেশনে ভিড়ের চাপে কামরার দরজা বন্ধ করতে বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্ল্যাটফর্মে কর্মরত আরপিএফ কর্মীদের ছুটে আসতে হচ্ছে বাঁশি হাতে। হুইসল বাজিয়ে চালক, গার্ড ও যাত্রীদের সতর্ক করা ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীদের ঠেলে ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে হচ্ছে। সকালের কয়েক ঘণ্টা বাদ দিলে বেলা ১১টার পর থেকেই যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করছে। বিকেল ৪টের পর থেকে ভিড়ের চাপে মেট্রোর রেকে কার্যত পা রাখার জায়গা থাকছে না। সারা দিনে ২৮৮টি ট্রেন চালানো হলেও ভিড় সামাল দেওয়ার পক্ষে তা মাঝে মাঝে যথেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছে যাত্রীদের। ভিড় বাড়ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও। গত মঙ্গলবার সেখানে যাত্রী-সংখ্যা ছিল ৪২ হাজারের বেশি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: