টি২০ সিরিজে নিউজ্ল্যান্ডকে দুরমুশ করার পর ওয়ান ডে-তে যে কাঁটে কি টক্কর হওয়ার ছিল তা আগেই ক্রিকেটমহল জানিয়েছিল। সেই প্রেডিকশনই সত্যি হলো। মধুর বদলা নিল কিউইরা। দুটি ম্যাচের দু’টিতেই জয় ছিনিয়ে নিল নিউজ্ল্যান্ড।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২৭৩ রান করেছিল কিউইরা। জবাবে ভারত রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে উইকেট হারিয়ে এক সময়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই জায়গা থেকে পাল্টা মারের খেলা শুরু করেন জাদেজা ও সাইনি। জাদেজার লড়াই ক্রিকেটভক্তদের মনে করিয়ে দিচ্ছিল বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের কথা। সে দিনও তিনি ভারতকে জেতাতে পারেননি। এ দিনও পারলেন না।
ভারতের টপ অর্ডার ব্যর্থ। মিডল অর্ডারও আসল সময়ে ভেঙে পড়ল। শ্রেয়াস আইয়ার প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ দিনও ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মিডল অর্ডারে কেদার যাদব (৯) ব্যর্থ। শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটিংয়ের হাত ভাল। তিনি ১৮ রান করে ফিরে যাওয়ার পরে চাপ বাড়তে থাকে ভারতের উপরে। এই সময়ে জাদেজা ও নবদীপ লড়াই নিয়ে যান নিউজিল্যান্ডের ক্যাম্পে। সাইনি ৪৯ বলে ৪৫ রানের প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলেন। সাইনি ও জাদেজা যখন লড়াই করছেন, তখনও মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচটা হয়তো বের করে নেবে। সাইনি ফেরার পরে জাদেজা ও চহাল লড়ছিলেন। চহাল (১০) অন্ধের মতো দৌড়তে গিয়ে রান আউট হলেন। জাদেজা (৫৫) ফিরতেই ভারতের ভক্তদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহালিদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। জিততে শুরু করলে চোখে পড়ে না দলের দুর্বলতা। হারলেই বোঝা যায় রক্তাল্পতা ঠিক কোন জায়গায়। ২৭৩ এমন কিছু রান ছিল না। ভারতের রয়েছে কোহালির মতো ব্যাট। শ্রেয়াস আইয়ার ছন্দে রয়েছেন। তবুও কেন হারতে হল? কারণ নিশ্চয় অনুসন্ধান করবে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel