যে সমস্ত জায়গাগুলিতে করোনার সংক্রমণ খুব বেশি সেই সমস্ত জায়গাগুলিকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করে পরিপূর্ণভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।  শুক্রবার নবান্নে এ সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। তিনি এ-ও জানান, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে মূলত ৯-১০টি জায়গায়। নবান্নের খবর, উত্তরবঙ্গের ১টি ও কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গা পূর্ণ লকডাউনের আওতায় পড়ছে।

 

সম্পূর্ণ ‘লকডাউন’ প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘মানুষের অসুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের আর কোনও উপায় নেই। রোগ যাতে ছড়িয়ে না-পড়ে, সেই জন্য চিহ্নিত এলাকাগুলিতে কাউকে বেরোতে দেওয়া হবে না। কেউ ওই এলাকায় ঢুকতে পারবেন না।’’ পরিস্থিতি বিচার করে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। নবান্ন সূত্রের খবর, আপাতত অন্তত ১৪ দিন এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন বাসিন্দাদের প্রয়োজনমতো সব সাহায্য করবে।

 

মুখ্যসচিব জানান, দেখা যাচ্ছে, ১১টি পরিবার থেকেই ৬০টির বেশি কোভিড সংক্রমণ হয়েছে। কালিম্পং, হলদিয়া, এগরা, হাওড়া, কলকাতায় দেখা গিয়েছে, এক জনের সংক্রমণ থেকে তা দ্রুত প্রতিবেশী বা পরিবারে ছড়িয়ে গিয়েছে। ফলে পজ়িটিভ করোনা সংক্রমণ দেখেই ‘হটস্পট’ বাছাই করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য দফতর চার-পাঁচটি স্তরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা নির্ধারণ করেছে। কোনও একটি গ্রামে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে সেটি ‘হটস্পট’। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাটি হবে ‘ক্লাস্টার’। সম্পূর্ণ লকডাউনে এই দু’ধরনের এলাকাতেই মানুষের মেলামেশায় নিষেধাজ্ঞা থাকছে। শুক্রবার কলকাতা-সহ সাতটি জেলার প্রশাসনিক এবং পুলিশকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। 

 

কলকাতা পুর এলাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ডভিত্তিক ‘হটস্পট’ হবে, নাকি অন্য পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের যে-ক’টি ওয়ার্ডে করোনা পজ়িটিভ কেস মিলেছে, সেগুলিতে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। হাওড়ায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চারটি এলাকা ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করে সিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। সুপার ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাওড়া হাসপাতাল অনির্দিষ্ট কাল বন্ধ রাখার কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তমলুকের দু’টি গ্রাম সিল হয়েছে।’’

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: