সাত সকালেই দেশের মানুষ অবাক হয়ে দেখল এনসিপি-র নেতা অজিত পাওয়ারকে নিয়ে সরকার গড়ল বিজেপি । দেবেন্দ্র ফরেণবীশ শপথ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে , উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার । কোনো আগাম সংকেত না দিয়ে সকাল ৭টায় এই ধরনের শপথ গ্রহণের নজীর দেশে নেই । সংবিধান ‍বিশেষঞ্জরাও ভেবে পাচ্ছেন কেন িএত চুপিচুপি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান । রাজ্যপালের নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।
আর সবচেয়ে লজ্জায় পড়েছেন শরদ পাওয়ার । তাঁর রাজনৈতিক জীবনে এটাই সবচেয়ে কঠিন সময় বলে রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা মনে করছেন । রাজ্যের মানুষ শরদ পাওয়ারের উপর ভরসা রেখে ভোট দিয়েছে বিজেপির । সেই ভোট পেয়ে বিজেপিকে সমর্থন করা কার্যত রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা । তাই শপথ গ্রহণের খবর পাওয়ার কয়েক মিনিট পরেই টুইট করে শরদ পাওয়ার জানিয়ে দেন অজিত পাওয়ার ব্যক্তিগতভাবে বিজেপির সঙ্গে গেছেন এনসিপি তাঁর এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করে না ।
এরপরেই উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পাওয়ার এক সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন । সেখানে শরদ পাওয়ার দাবি করেন ,মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোটই। অজিতকাণ্ডের পরও চড়া সুরে দাবি করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। অজিত পাওয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘শিবসেনার বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মহারাষ্ট্র ঘুমিয়ে থাকবে না।’
দুপুরে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে অজিতের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন শরদ পাওয়ার  ‘দলের মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ করেছেন অজিত।ওর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। আমি যতদূর খবর পেয়েছি দলের ১০ থেকে ১১ জন বিধায়ক চলে গিয়েছেন। তবে, এর মধ্যেও বেশ কয়েকজন দলের নেতাদের সঙ্গে ফের যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’ অজিত অনুগামী এনসিপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ জানানো হবে বলে এদিন স্পষ্ট করেন শরদ পাওয়ার।
অজিত পাওয়ার কিছু না জানিয়েই বিধায়কদের রাজভবনে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ এনসিপির। সেই অভিযোগ পোক্ত করেন এদিন সকালে শপথ অনুষ্ঠানের সাক্ষী দলের বিধায়ক ডঃ রাজেন্দ্র শিংগনে। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘গত রাতে আমাকে অজিত পাওয়ার ফোন করে আজ সকালে ৬টায় তাঁর বাড়িতে যেতে বলেন। আমরা ৮-১০ জন বিধায়ক জড়ো হই। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের রাজভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন সেখানে যাচ্ছি এসম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।’ এরপরই ডঃ রাজেন্দ্র শিংগনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তিনি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছেন।
শরদ পাওয়ারের ঘোষণা, ‘কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোট অটুট রয়েছে। আমরা সরকার গঠনের দাবি জানাব। জোটের পক্ষে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।’ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের দাবি, ‘রাতের অন্ধকারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মানুষ এর বদলা নেবে।’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: