পুরভোটে সন্ত্রাস এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে সোমবার হাই কোর্টের কাছে এ বিষয়ে মামলা করার অনুমতি চান ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা সরকার। পৃথক ভাবে আবেদন জানানো হয় বিজেপি-র নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও। দু’টি আবেদনই মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সোমবার বিজেপি-র আইনজাবী বলেন, ‘‘মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হয়নি। বোমাবাজিতে জখমের ঘটনা ঘটেছে। আদালত সমস্ত বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা মানেনি। বহু বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক ভাবে কাজ করেনি। এ বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমরা আদালতের কাছে জমা দিয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতা পুরসভা ভোটে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। শিয়ালদহ ও বেলেঘাটায় বোমাবাজি হয়। টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বোমাবাজিতে জখম হন ২ জন। একজন পা হারান। ছাপ্পা ভোটেরও অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে পোলিং এজেন্ট বসতে 'বাধা' দেওয়ার অভিযোগ করে। মারধরের অভিযোগ করে। এমনকি জোড়াসাঁকোতে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের ব্লাউজ, শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এলএলএ হস্টেলে 'তালাবন্দি' করে রাখার অভিযোগ ওঠে একদল বিজেপি বিধায়ককে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা পুরভোটে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়। কিন্তু বিরোধীদের দাবি খারিজ করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা পুরভোটে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়। কিন্তু বিরোধীদের দাবি খারিজ করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: