কৃষি বিল নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন এই বিলের অপকারিতা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই কৃষি বিল কৃষকদের লাভের থেকে ক্ষতি করবে বেশি। এমনই দাবি করছে বিরোধীরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক রাজ্যে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন কয়েক লাখ কৃষক। বাংলাতেও এই বিলের বিরোধিতায় চাষিরা রাস্তায় নেমেছেন। বিজেপি সরকারের এই কৃষি বিল কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম দিন থেকে বলে আসছেন, এই বিল আসলে কৃষকদের জন্য সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনবে। দু সপ্তাহ আগে রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিল-এর উপকারিতা বুঝিয়েছিলেন।   

এবার গতকাল রবিবার গ্রামের মানুষকে সম্পত্তি-কার্ড দেওয়ার সরকারি ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানে এ ভাবেই বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের কটাক্ষ করলেন ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রতিনিধি’ হিসেবে।  প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইস্তক মোদী সাংবাদিক বৈঠক করেন না। তাঁকে প্রশ্নও করা যায় না। তার পরেও মোদী সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যেমন এ দিন মোদীর দাবির পরে কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের পাল্টা প্রশ্ন, এপিএমসি তুলে দেওয়া নতুন কৃষি আইনে চাষিদের ভাগ্য যদি এত ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে কেন দেশের নানা প্রান্তে তাঁরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন? তাঁদের কটাক্ষ, দরিদ্র-দলিতদের জন্য এত ভাবা মোদী কেন এখনও হাথরস প্রসঙ্গে নীরব? মোদীর দাবি, শৌচালয়, উজ্জ্বলা প্রকল্পে নিখরচার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই সম্পত্তি কার্ড— তাঁর ছ’বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বে গ্রাম এবং গরিবের জন্য যত কাজ হয়েছে, বিরোধীদের ছ’দশকে তা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকার সময়ে এখনকার বিরোধীরা মুখে ক্রমাগত দরিদ্রদের ভাল করার কথা বললেও আসলে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা জারি রাখতে তাঁদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখতে চেয়েছেন অভাবের শিকলে। যাতে বিভিন্ন প্রয়োজনে হাত পাতার প্রয়োজন পড়ে। তার সুবিধা লুটতে পারে মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “দরিদ্রদের অভাবের শিকলে বেঁধে রাখার রাজনীতি হয়েছে এত দিন। বিরোধীরা জানতেন, গ্রাম-গরিব-দলিত-আদিবাসীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হলে, অভাব থেকে মুক্তি পেলে, তাঁদের (দুর্নীতির) ‘দোকান’ চলবে কী করে? তাই তাঁরা চাইতেন গ্রামের সমস্যা বেঁচে থাক।”

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: