বিগত কয়েকদিনের মৃত্যু পরিসংখ্যানের হিসেব থেকে দেখা যায়, সোমবারে কোভিডে মৃত্যু সংখ্যাটি ছিল ৭২৪। রবিবারে ৮৯৫, শনিবারে ১ হাজার ২০৬,  শুক্রবারে ৯১১। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪১,০০০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ০১ লক্ষ ০৪ হাজার ৭২০ জন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪৬।  মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৪০৮ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ০৭৪ জন। 

অন্যদিকে, কোভিডে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যায় ভারতকে ছাপিয়ে গেল ইন্দোনেশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পর পর দু’দিনে কোভিডে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রেকর্ড গড়ে মঙ্গলবার সেই সংখ্যা হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৯৯। যা ইন্দোনেশিয়াকে এশিয়ায় সার্স-কোভ-২ ভাইরাস সংক্রমণের নতুন ভরকেন্দ্র করে তুলল। সরকারি সূত্রের খবর, সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ ভাইরাসের ডেল্টা রূপ। যা খুব দ্রুত ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইন্দোনেশিয়ার লাগোয়া জাভা দ্বীপ থেকেই মূল ভূখণ্ডে ঢুকেছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের এই ডেল্টা রূপটি। প্রশাসনের আশঙ্কা, সংক্রমিতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে হাসপাতালে শয্যা ও অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দেবে খুব শীঘ্র। গত এক সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় কোভিডে প্রতি দিন গড়ে ৯০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক মাস আগে, জুনে যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৮১। তবে গত মে মাসে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ যখন তুঙ্গে পৌঁছেছিল, তখন ভারতে প্রতি দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছুঁয়েছিল। গড়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭২। গত মঙ্গলবার অবশ্য ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে ৩৩ হাজারের নীচে নেমেছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: