
এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মণের মা বাসনার মতে মুখ্যমন্ত্রী ভালো মানুষ হলেও তাঁর দলের নেতা মন্ত্রীরা কথা দিয়ে কথা রাখেননা।তাই তিনি চান ‘দিদিকে বল’ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে।এদিন স্বপ্নাও অভিযোগ করেন “আমার সোনা জয়ের পর অনেকেই অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সবাই সব কথা রাখতে পারেননি। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তা রক্ষা করতে হয়। মা ঠিকই বলেছেন।’’তিনি আরও বলেন ‘‘আত্মীয়স্বজনেরা এখন এই সব নিয়ে আমাদের কটাক্ষ করছেন।”
স্বপ্নার মা জানান মেয়ে সোনা জেতার পর এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ প্রতিশ্রুতি দেন বাড়ি ও ছোট ছেলেকে চাকরি করে দেওয়ার।কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।স্বপ্নার মা বলেন ‘‘এত দিন তো কোথাও অভিযোগ বা ক্ষোভ জানানোর সুযোগ ছিল না। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার নম্বর পেয়েছি। সেখানেই ফোন করব বলে ঠিক করেছি।’’ তিনি আরও জানান , ‘‘১৩ মাস কেটে গেল, ওঁরা কথা রাখেননি। আজও চাকরি পায়নি ছোটছেলে।’’
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুধ্যে তাঁদের কোন ক্ষোভ নেই। তাঁরা এও জানান যে মুখ্যমন্ত্রীই স্বপ্নার বড় দাদার চাকরির ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন।তাঁদের কথায় “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ওঁর নেতা-মন্ত্রীরা তো নিজে থেকেই ওঁরাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেগুলি কিছুই হয়নি। সে সব কথাই দিদিকে বলব।’’
অন্যদিকে বিজয়বাবু জানান ‘‘এ সব নিয়ে কথা বলতে চাই না।’’ পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বপ্নার দাদার চাকরির ব্যবস্থা আমার দফতরেই করে দিয়েছি। জলপাইগুড়িতে পোস্টিং চাওয়া হয়েছিল। সেটাও করে দেওয়া হয়েছে। আমি ওঁর ছোট ভাইকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিইনি।’’