কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, পুজো মণ্ডপে দর্শকরা প্রবেশ করতে পারবেন না। কোন কোন উদ্যোক্তারা মণ্ডপে প্রবেশ করবেন পুজো কমিটিগুলিকে আগে থেকেই সেই সব ব্যক্তির নাম প্রশাসনকে জানাতে হবে। মণ্ডপের গায়েও সেইসব নাম লিখে টাঙিয়ে দিতে হবে। ছোট ও বড় পুজোর ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আদালত। রাজ্য সরকারও তার নির্দেশিকায় জানিয়েছে যে, কোভিডের দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে দূরত্ববিধি বজায় রেখে অঞ্জলি দেওয়া, সিঁদুর খেলা সম্ভব। 

পুজো নিয়ে গত মঙ্গলবার নবান্নের জারি করা নির্দেশিকা :

- চারিদিক খোলা মণ্ডপ করতে হবে। যেখানে প্রবেশ এবং বেরনোর আলাদা জায়গা থাকবে।
- শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মণ্ডপে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে।
- মণ্ডপে স্যানিটাইজার এবং মাস্কের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক।
- কোনও দর্শনার্থী মাস্ক না পরে আসলে তাঁকে তা দিতে হবে পুজো কর্তৃপক্ষকে। মণ্ডপে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তাঁদেরও মেনে চলতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধি।
- দুর্গাপুজোর সময় সিঁদুরখেলা বা দেবীবরণের মতো রীতিতে ছাড়। তবে তা করতে হবে ছোট–ছোট গ্রুপে।
- যাতে পুণ্যার্থীরা দূর থেকে মন্ত্র শুনতে পান তাই মন্ত্রচ্চারণের সময় পুরোহিতদের মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে হবে।
- অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনতেই প্রাধান্য।
- পুরষ্কারের ক্ষেত্রে বিচারকরা ভিড় করে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না।
- সর্বোচ্চ দু’টি গাড়ি নিয়ে মণ্ডপে প্রবেশে ছাড়।
- সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত বিচারকরা মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন।
- পুজো উদ্বোধন কিংবা বিসর্জনে জাঁকজমক চলবে না। নির্দিষ্ট সময়েই নদী বা পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: