দমদমের (DumDum) পর ফের শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে হদিশ মিলল ঐতিহাসিক কামানের (Cannon)। পূর্ব রেলের সদর দফতর ফেয়ারলি প্লেসের পাশে স্ট্র্যান্ড রোডের (Strand Road) ধার থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হল বিশালাকার এক কামান। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ১৭৬৩ থেকে ১৭৭৯ সালের মধ্যে এই ধরনের কামান নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীকালে যখন ইংরেজরা প্রথম ফোর্ট উইলিয়াম হিসাবে জিপিও বিল্ডিংটির ব্যবহার শুরু করেন, তখন এই ধরনের প্রাচীন কামান ও অস্ত্রশস্ত্র আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেনাবাহিনী থেকে সে সময় বাতিল করে দেওয়া এই ধরনের কামান কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোড ধরে তার দুপাশে সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও কিছু কামান এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা চত্বর, দমদম, হুগলির শ্রীরামপুর সহ বেশ কিছু জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এই সব কামান বা অস্ত্রশস্ত্র সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরাই ইংরেজ শাসকদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।

এই ধরনের কামান সহ ঐতিহাসিক সামগ্রী খনন কার্যের মাধ্যমে উদ্ধার করা হলে সুপ্রাচীন শহর কলকাতার অনেক অজানা ইতিহাস সাধারণ মানুষের সামনে আগামী দিনে উন্মোচিত হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় জানান, কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে যে সমস্ত ঐতিহাসিক সামগ্রী উদ্ধার হচ্ছে, সেগুলি সাধারণ মানুষের সামনে উন্মোচিত করার লক্ষ্যে, রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে একটি জুডিশিয়াল মিউজিয়ামের সূচনা করা হতে চলেছে। সেখানেই এই ধরনের সামগ্রী রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বহু বছর ধরে ফেয়ারলি প্লেস সংলগ্ন স্ট্র্যান্ড রোডের ফুটপাতে দেখা যেত কামানের একটি মুখ। সেটি মাটিতে গাঁথা ছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল এবং অফিসিয়াল ট্রাস্টির নজরে আসে বিষয়টি। এর পরেই শুরু হয় সেই কামান তুলে আনার কাজ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেলের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, এই খোঁড়াখুঁড়ি যেহেতু ফেয়ারলি প্লেসের রেলের ভবন লাগোয়া অঞ্চলে হচ্ছে, তাই কাজ শুরুর আগে তাঁদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কারণ, মাটিতে এমন খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রেলের পুরনো ভবনের ভিত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই কদিন আগে কামান তোলার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন তাঁরা।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: