টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, বিগো লাইভ, হেলো, শেয়ার-ইটের মতো ৫৯টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। মোবাইল, ট্যাব-সহ কোনও প্রকার গ্যাজেটেই আর ব্যবহার করা যাবে না ওই সব অ্যাপ। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এবং দেশের সার্বিক সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে চিনের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র বড়সড় ধাক্কা খাবে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। চিনের এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নষ্ট হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত বহু তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে নানা মহল থেকে দীর্ঘদিন থেকেই অভিযোগ আসছিল। গালওয়ানে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর সেই অভিযোগ আরও জোরালো হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকেও নানা মহল থেকে এই ধরনের ভুরি ভুরি নালিশ জমা পড়ে। তার পরেই কেন্দ্রের এই কড়া পদক্ষেপ।

 

সম্প্রতি TikTok-এর ব্যবহারকারীদের তথ্যচুরির বিষয়টি ধরা পড়েছে Apple-এর নতুন অপারেটিং সিস্টেম iOS 14-এর একটি বিশেষ ফিচারে। iOS 14-এর ওই ফাচারের সাহায্যে সহজেই ধরা পড়ে কোন অ্যাপ ইউজারের কোন তথ্য বা সার্চ হিস্টরি অ্যাকসেস করছে। জানা গিয়েছে, শুধু ভারতীয়দেরই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব জুড়ে iPhone ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ও কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালাত TikTok। এ বার ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনার আবহেই ৫৯টি চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। তবে এক লপ্তে এতগুলি অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় চিনের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র যে ধাক্কা খাবে, তা মেনে নিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা। কারণ, নিষিদ্ধ করা ৫৯টি অ্যাপের মধ্যে অনেকগুলিই ভারতে বেশ জনপ্রিয়। তার মধ্যে অন্যতম টিকটক। শুধু ভারতেই এই ভিডিয়ো অ্যাপের ইউজারের সংখ্যা ৬০ কোটির বেশি ইউজার। আর সারা বিশ্বের হিসেবে এই বছরের মার্চে শেষ হওয়া প্রথম ত্রৈমাসিকে এই অ্যাপটির ব্যবহারকারী ১৫০ কোটি ছাড়িয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি ত্রৈমাসিকের শেষে ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া হেলো, ইউসি ব্রাউজার, বিগো লাইভ, বিগো ভিডিয়ো, এমআই ভিডিয়ো কল, ক্লিন মাস্টারের মতো অ্যাপগুলির ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম নয়। ভারতে নিষিদ্ধ হলে এই সব অ্যাপগুলি দেশের বিরাট সংখ্যক ইউজার হারাবে। স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব পড়বে অন্যত্রও। তবে কী ভাবে এই অ্যাপগুলি ব্লক করা হবে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: