মঙ্গলবার অর্থাৎ সপ্তমীর দিন তাঁর পটিয়ালা হাউস আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তার আগেই সোমবার দিল্লি হাই কোর্ট নির্দেশ দিল, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে। পরিবর্তে তাঁর আইনজীবীই হাজির থাকবেন আদালতে।

৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন রুজিরা। অনলাইনে থাকলেও, শুনানিতে তিনি কেন সশরীরে আদালতে উপস্থিত নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইডি-র আইনজীবী। এমন অভিযোগ নিয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই মামলায় রুজিরাকে আগামী ১২ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। গত ৬ অক্টোবর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন রুজিরা। তাঁর বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী আউট অব স্টেশন থেকে কোনও মহিলাকে যদি তলব করতে হয় তাহলে তার আগে এনকোয়ারির করা প্রয়োজন। বর্তমানে তিনি দিল্লির বাইরে থাকেন। তাই কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁকে তলবের আগে এনিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। পাশাপাশি রুজিরা আরও জানান, এর আগে তাঁকে যে তলব করা হয়েছিলা তা তিনি অমান্য করেননি। প্রত্যেকবারই তিনি মেল বা অন্য কোনও ভাবে যোগাযোগ করেছেন বা সমনের উত্তর দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুজিরাকে (Rujira Bandopadhyaya) দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি (ED)। করোনা আবহে তাঁর পক্ষে ২ সন্তানকে নিয়ে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান রুজিরা। ইডি কর্তারা দাবি করেন, দিল্লিতেই ছিলেন রুজিরা। একটি বিউটি পার্লারেও গিয়েছিলেন। অথচ সমনের সাড়া দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আর একটি  মামলায় একই দাবি করেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। পাটিয়ালা হাউজ কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি (ED)।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: