পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক জেলায় সাংগঠনিক রদবদল সেরে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কিছু জেলায় সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদে পুরনোদের সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে। সাংগঠনিক স্তরে যে পরিবর্তন হবে, আগের তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় অশনি মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় জেলা সভানেত্রী হলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বনগাঁয় গোপাল শেঠকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে। নতুন সভাপতির নাম পরে জানানো হবে। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর জায়গায় জেলা সভাপতি পদে আনা হল অরিন্দম গুঁইকে। কোচবিহারে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল পার্থপ্রতিম রায়কে। নতুন জেলা সভাপতি হলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। দক্ষিণ দিনাজপুরে উজ্জ্বল দে বসাকের জায়গায় তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি হলেন মৃণাল সরকার।

সোমবার দুপুরে সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা প্রকাশে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান বদল করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে এই রদবদলের মধ্যেই পুরনো দায়িত্বে যাঁরা রয়ে গেলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বীরভূমের বিতর্কিত নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আবার শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। শ্রীরামপুর ও হুগলি সাংগঠনিক জেলাকে মিলিয়ে একটি সাংগঠনিক জেলা করা হয়েছে। যাঁর সভাপতি হয়েছেন বিধানসভা ভোটের ‘জায়ান্ট কিলার’ অরিন্দম গুঁই। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে বিধানসভা ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান করা হয়েছে ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হয়েছেন তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। চেয়ারম্যান হয়েছেন জয়দেব জানা।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: