পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট খেলেও সেমিফাইনালে ম্যাচের শেষ পাঁচ ওভার খারাপ খেলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে বিদায় নিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, ম্যাথু ওয়েড (১৭ বলে ৪১ রান অপরাজিত), মার্কস স্টোয়নিস (৩১ বলে ৪০ অপরাজিত শেষের দিকে অনবদ্য ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে গেলেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপ পাঁচবার জিতলেও একবার টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সেই কলঙ্ক ঘোচালেন ম্যাথু ওয়েড। এবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার খেলবে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

আজই পরিষ্কার হয়ে গেল টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেতে চলেছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। এর আগে এই দুই দেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরে থাকা কখনও ফাইনালেই ওঠেনি। জয়ের জন্য ১৭৭ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া একটা সময় ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত হারের মুখে দাঁড়িয়েছিল। শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদিদের বলে তখন যেন আগুন ঝরছে। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ৪০ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ করে দলকে জিতিয়ে আনলেন ওয়েড-স্টোয়নিস। ১৯তম ওভারে শাহিদ আফ্রিদির শেষ তিনটি বলে ম্যাথু ওয়েড পরপর তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে আনেন।

একেবারে নাটকীয় কায়দায় পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া। বৃথা গেল পাক স্পিনার শাদাব খানের (৪/২৬) দুরন্ত স্পেল, মহম্মদ রিজওয়ান (৬৭), ফকহর জামান (৩২ বলে ৫৫ রান)-এর দারুণ ব্যাটিং। এর আগে মহম্মদ রিজওয়ান, ফকহর জামানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বিরাট রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করতে দেখা যায় পাকিস্তানি ব্যাটারদের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে পাকিস্তান।

পাকিস্তান ইনিংসের ১৭.২ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ধরা পড়েন মহম্মদ রিজওয়ান। তার আগে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ বলে ৬৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন রিজওয়ান। এছাড়া ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর জামান। ১ বলে ১ রান করে নট-আউট থাকেন মহম্মদ হাফিজ। আর ১৯.২ ওভারে শোয়েব মালিককে ফেরালেন মিচেল স্টার্ক। ২ বলে ১ রান করে বোল্ড হন তিনি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: