আগের বছরের মতো ২০২২-২৩ অর্থবর্ষেও ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সর্বোচ্চ আয়কর দাতা মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। এই মরশুমের আইপিএলে (IPL) তিনি যা রোজগার করেছেন, তার তিন গুণের বেশি আয়কর দিয়েছেন। আয়কর দফতর (Income Tax Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অর্থবর্ষে ৩৮ কোটি টাকা দিয়েছেন ধোনি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের আয় হয়েছিল ১৩০ কোটি টাকা।

আয়কর দফতর জানিয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (International Cricket) থেকে অবসর নিলেও ধোনির আয় তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর পর থেকে তিনি বরাবর তাঁর রাজ্যের সর্বোচ্চ আয়কর দাতা হয়ে এসেছেন। গত অর্থবর্ষে তিনি আয়কর দিয়েছিলেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এ বছরেও ব্যতিক্রম হল না। এই মরশুমে ১২ কোটি টাকায় ধোনিকে দলে রেখে দিয়েছিল তাঁর দীর্ঘদিনের ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। তার তিন গুণ টাকা কর দিলেন তিনি। তবে মাহির আয়ের প্রধান উৎস বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এনডোর্সমেন্ট।

প্রসঙ্গত, উদ্বোধনী ম্যাচে গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) কাছে হারের পর লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG) বিরুদ্ধে জয়ে ফিরেছে সিএসকে (CSK)। প্রথম ম্যাচে ৭ বলে অপরাজিত ১৪ রান করার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে তিন বলে ১২ রান করেছেন। প্রথম দুই বলে দুটো ছয় এবং তৃতীয় বলে আউট। ধোনি ছয় মারতেই স্টেডিয়াম জুড়ে আওয়াজ ওঠে— ‘মাহি মার রহা হ্যায়।’ ব্যাট হাতে এখনও যে অনেক কিছু দেওয়ার আছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

কিন্তু কেন তিনি ব্যাটিং অর্ডারে নীচে নামছেন তার ব্যাখ্যা নেই বললেই চলে। হয়তো তরুণদের সুযোগ দিতে নীচে নামছেন ধোনি। কিন্তু তাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে আর সবথেকে বড় কথা মাহির ব্যাটিং দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দর্শক। বয়স বাড়ার কারণে ধোনি এখন প্রথম বল থেকেই মারতে পারেন না। তাঁর থিতু হতে কিছুটা সময় লাগে। কিছু বল খেলে সেট হওয়ার পর হাত খুলে মারতে সুবিধা হয় তাঁর। এই বাড়তি বল খেলার জন্য আগে আসার প্রয়োজন ধোনির। উদ্বোধনী ম্যাচে সাত বলে ১৪ করেছেন ঠিকই তবে তা ব্যতিক্রমী ঘটনা। আর তাছাড়া পাঁচ কিংবা ছয়ে নম্বরেই তাঁর সাফল্য সবথেকে বেশি।  

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: