কোনও অঘটন হল না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UCL) সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসি মিলানকে (AC Milan) ১-০ হারাল ইন্টার মিলান (Inter Milan)। দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-০ জিতে ফাইনালে চলে গেল তারা। ২০০৯-১০ মরশুমে জোসে মোরিনহোর (Jose Mourinho) আমলে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল তারা। সেবার বায়ার্ন মিউনিখকে (Bayern Munich) হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয় ইন্টার। তারপর থেকে ইউরোপীয় ফুটবলের আঙিনায় কোনও সাফল্য নেই তাদের। এবার কিন্তু সুযোগ আছে।

মঙ্গলবার নেরাজুরিদের হয়ে একমাত্র গোল করেন অধিনায়ক লাতারো মার্তিনেজ (Latauro Martinez)। দুই দল আক্রমণ চালালেও প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। মিলানের ব্রাহিম দিয়াজ একটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। রাফায়েল লিয়াওয়ের (Rafael Leao) শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে অলিভিয়ের জিরু (Olivier Giroud) এদিনও হতাশ করলেন। চোট পাওয়া ইব্রাহিমোভিচের জায়গায় জিরুই ছিলেন গোল করার প্রধান লোক। কিন্তু গোলে একটা শট পর্যন্ত নিতে পারলেন না তিনি।

কোনও সন্দেহ যোগ্যতর দল হিসেবেই ফাইনালে গিয়েছে ইন্টার। এই মরশুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের সূচি প্রকাশ হওয়ার পর কেউ কল্পনাও করেনি, ইন্টার ফাইনালে যাবে। কারণ তাদের গ্রুপে ছিল বায়ার্ন এবং বার্সেলোনা (Barcelona)। কিন্তু বিশ্বাস হারাননি সিমোন ইনজাঘি (Simone Inzaghi)। ভরসা জুগিয়েছেন ছেলেদের। বার্সাকে হারিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে নক আউটে ওঠে তারা। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।


তবে ফাইনালে লড়াই কঠিন। ইন্টারের প্রতিপক্ষ হয় রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) নয়তো ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City)। একটা দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সফলতম আর একটা এই মুহূর্তে ইউরোপের ভয়ঙ্করতম দল। অবশ্য ফাইনাল ম্যাচের এখনও অনেক দেরি। আপাতত ষষ্ঠবার ইউরোপীয় কাপের ফাইনালে ওঠার সেলিব্রেশন চলবে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: