‘ঠাকুমাদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা’ শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটাই সত্যি করে দেখালেন  বেঙ্গালুরুর আরতি বি চাটলানি। খাতায় কলমে বয়স ৬২। তাতে কী? নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল ষোলোআনা। আর সেই তাগিদের জোরেই প্রথম ভারতীয় হিসেবে জিতে এলেন ‘গ্র্যান্ডমা ইউনিভার্স সম্মান’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ঠাকুমাদের টেক্কা দিয়ে ছিনিয়ে নিলেন শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।

বুলগেরিয়ার সোফিয়াতে এই মাসেরই ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বিউটি পেজেন্ট। সৌন্দর্যের যে নির্দিষ্ট কোনও বয়স হয়না, সে বার্তা দিতেই এই পেজেন্টের আয়োজন। বেঙ্গালুরু থেকে বুলগেরিয়া...জার্নিটা কেমন ছিল আরতির? ৬২টা বসন্ত পেরিয়ে এসে নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করলেনই বা কী করে?

এক সর্ব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরতি বলেন, “তিনটে রাউণ্ডের ছিল এই প্রতিযোগিতা। প্রথম রাউন্ডে পরেছিলাম ব্রাইডাল জুয়েলারি আর লেহেঙ্গা।” দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিল নাচের পারফরম্যান্স। সেখানেও কেল্লাফতে। হিন্দি গানের সঙ্গে জমিয়ে নেচে অবাক করেছিলেন সকলকে।

 

কিন্তু এত বড় একটা মঞ্চ, বিশ্বের সুন্দরী সব ঠাকুমা হাজির সেখানে...ভয় করেনি? আরতির কথায়, “লম্বা আর ফিট ঠাকুমাদের দেখে ব্যাগ প্যাক করে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম।” কিন্তু স্বামীকে পেয়েছেন পাশে। যখনই ভয় পেয়েছেন, ভেবেছেন আর বুঝি হোল না, আরতির স্বামী সাহস জুগিয়েছে। শুধু স্বামীই কেন? নাতি নাতনি, সন্তানেরাও ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। জানুয়ারির ২৩ তারিখ, সুদূর বুলগেরিয়ায় যখন গ্র্যান্ড ফিনালে হচ্ছে ভারতীয় ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর চারটে। ঘুম নেই আরতির পরিবারের চোখে। আরতির বোন ছাড়া আর কেউ যেতে পারেননি সেখানে। তাতে কি? মন তো পড়ে বুলগেরিয়াতেই। অগত্যা ভরসা ভিডিয়ো কল। গোটা অনুষ্ঠান ভিডিয়ো কলের মাধ্যমেই সবাইকে দেখিয়েছিলেন তাঁর বোন।

তারপরটা ইতিহাস...বেঙ্গালুরুর ঠাকুমা নেটপাড়ার নয়া সেনসেশন। আসছে হাজারও শুভেচ্ছা। আরতির মতে স্বপ্ন দেখতে জানতে হয়। কিং খান বলেছিলেন না, ‘আগার কিসি চিজ কো দিল সে চাহো তো পুরি কায়ানাত উসে তুমসে মিলানে কি কৌশিস মে লাগ জাতি হ্যয়’। স্বপ্ন দেখেছিলেন, ফলও পেলেন তাই। ৬২ তে নতুন ইনিংস শুরু করলেন আরতি বি চাটলানি।

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: