মোদী সরকারের আমলে এবার শিক্ষকরাও যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে । দেশের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ এবং ভারতীয় ইতিহাসের সত্য উদ্ঘাটনের অন্যতম পুরোধা রোমিলা থাপার সহ ১২ জন অধ্যাপকের কাছ থেকে নতুন বায়োডাটা চেয়ে বির্তকে জড়িয়ে পড়ে জহওরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রোমিলা থাপারের কাছ থেকে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ বায়োডাটা চেয়েছেন এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে বির্তক শুরু হয় । তা থেকে নিজেদেরকে আড়াল করার জন্য জেএনইউ কর্তৃপক্ষ  নতুন যে যুক্তি খাঁড়া করেছে তাতে আবার মুখ পুড়ল দেশের প্রথম সারিরর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের ।
রোমিলাদেবী-সহ যে ১২ জন এমেরিটাস (মহিলাদের ক্ষেত্রে এমেরিটা) অধ্যাপকের বয়স পঁচাত্তর পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের কাছে বায়ো-ডেটা চেয়ে কাজের মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছিল জেএনইউ। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, রোমিলা থাপার আগামী দিনে জেএনইউয়ের সঙ্গে কতটা যুক্ত থাকতে আগ্রহী, তিনি প্রতিষ্ঠানকে কতটা সময় দিতে পারবেন, তা জানতেই ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জেএনইউটিএ।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসত্য বলছেন। কর্তৃপক্ষের বিবৃতি এবং যে চিঠিটি রোমিলা থাপারের কাছে গিয়েছে— দু’টির বয়ানে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে রোমিলাদেবীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, জেএনইউয়ের এমেরিটাস প্রফেসরের পুরনো কাজের মূল্যায়ন করে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে ওই সাম্মানিক পদ (তাঁকে) বহাল রাখা হবে কি না।
শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। রোমিলা থাপার-সহ যে ১২ জন এমেরিটাস অধ্যাপককে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার ও প্রত্যেকের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে জেএনইউটিএ।


Find out more:

jnu