এই প্রথমবার রাজ্যে কোন চিকিৎসকের নমুনা পজিটিভ পাওয়া গেল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আলিপুরে সেনার কম্যান্ড হাসপাতালের এক চিকিৎসকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ পেয়েছেন নাইসেডের বিশেষজ্ঞরা। তিনি এই মুহূর্তে সেনার কম্যান্ড হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। রাজ্যে এই প্রথম কোনও চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হলেন। ৫২ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক ছাড়াও ৬৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের লালা রসের নমুনাও পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। একই দিনে রাজ্যে আরও দু’জন আক্রান্ত হলেন।  সব মিলিয়ে রাজ্যে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০। 

 

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নাইসেডের পক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের রিপোর্ট তাঁদের কাছে এসেছে।  ওই চিকিৎসক অ্যানাস্থেশিওলোজিস্ট। তিনি সেনা হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের প্রধান।

 

যদিও তাঁর সাথে কোন বিদেশ ভ্রমনের যোগ এখনো স্পষ্ট নয়, তবুও এই চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। কারণ, চিকিৎসকদের মধ্যে অ্যানাস্থেশিওলোজিস্টরা রোগীদের খুব কাছাকাছি যান। সেখান থেকে রোগীর সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই কারণে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কম্যান্ড হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওই চিকিৎসক কোন কোন রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে কোয়রান্টিনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসক দিল্লি গিয়েছিলেন। ১৬ মার্চ দিল্লি থেকে ফিরেছেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৭ মার্চ তিনি সেনা হাসপাতালে কাজে যোগ দেন। ২১ মার্চ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত কাজ করেছেন সেনা হাসপাতালে। এর পর থেকেই তিনি অসুস্থ হন। সর্দি, জ্বরের সঙ্গে শ্বাস কষ্টের মত উপসর্গ দেখা যায়। তাঁকে  কম্য়ান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমে চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া বলে সন্দেহ করেন। নিউমোনিয়ার জন্যই ফুসফুসে সংক্রমণ এবং শ্বাস কষ্ট বলে সন্দেহ করেন তাঁরা। কিন্তু চিকিৎসার পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ওই চিকিৎসকের লালা রসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে পরীক্ষার জন্য। সেনা হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রথম থেকেই তাঁকে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: