মুম্বইয়ে ঘিঞ্জি
চাওল-এ সংসার। বাবা হিন্দি সিনেমায় স্টান্টম্যান। পরে অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করার
সুযোগ। বাবা কোনও দিন চাননি ছেলেরা ইন্ডাস্ট্রিতে আসুক। দুই ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে
গেছেন তাই হাজার অসুবিধা সত্ত্বেয়। বড় ছেলে ভিকি কৌশল রাজীব গান্ধী
ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স নিয়ে
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলেন ২০০৯ সালে। তারপর একটি
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটে গিয়ে বুঝলেন এই কাজ তাঁর জন্য নয়।
তাঁর জন্য অন্য কিছু অপেক্ষা করছে। শুরু হলে বাবার সঙ্গে সেটে যাওয়া। অভিনয় শিখলেন
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। তারপর বাবার সঙ্গে যেতে যেতে তাঁর প্রথম কাজ শুরু অনুরাগ
কাশ্যপের সঙ্গে। সহকারী পরিচালক হিসাবে ২০১২ সালে 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর'-এ। এরপর
অভিনয়ে হাতেখড়ি। তবে পর্দায় নয়, মঞ্চে। মঞ্চের পর অনুরাগ কাশ্যপের দুটি ছবিতে
ছোটখাটো ভূমিকায়। এভাবে চলতে চলতে মুখ্য ভূমিকায় ভিকির প্রথম অভিনয় 'মসান' ছবিতে।
তবে সেখান থেকে শুরু। অভিনয় ছিল ডোম পরিবারের ছেলে হিসাবে। তাই দিনের পর দিন থেকেছেন
বারাণসীতে অনগ্রসর পরিবারের জীবনধারা জানতে। বিশেষ সামদৃত হয় ছবিটি। পুরস্কৃত হন
ভিকি।
আরও পড়ুন : রণবীরকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকলেন দীপিকা, তাহলে কি ...
আরও পড়ুন : ডেভিড ব্যাকহ্যামকে হারিয়ে দিলেন ঋত্বিক রোশন, জানুন বিস্তারিত
না তারপর আর
চাকরির দিকে পা মাড়াননি। অভিনয়ই হয়ে উঠল তাঁর ধ্যান জ্ঞান। মসানের পর ভিকির পরের
ছবি ছিল 'জুবান'। সেখানে তোতলা ছেলের ভূমিকার জন্য স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে গিয়েছিলেন
তোতলামি নিখুঁত করতে। এরপর ‘রমন রাঘব ২.০’, ‘লভ পার স্কোয়্যার ফুট’ ছবিতে ভিকি দর্শকদের মন কাড়লেন তাঁর অনবদ্য অভিনয় দিয়ে। মেঘনা গুলজারের ছবি 'রাজি'-তে আলিয়া ভাটের স্বামীর ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয়। তারপর ‘সঞ্জু’, ‘মনমর্জিয়াঁ’ এবং ‘উরি: দ্য
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। এখন তাঁর পারিশ্রমিক আকাশ ছোঁয়া। আজকের দিনে
তিনি পরিচালকদের প্রথম পছন্দ। কয়েকদিন পরেই তাঁর হাতে উঠবে যুগ্ম ভাবে সেরা অভিনেতার
জাতীয় পুরস্কার।
অভিনয়ের পাশাপাশি ভিকির শখ বই পড়া। নাচতেও ভালবাসেন তিনি। ভিকি এক জন প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী। এছাড়া খাওয়া-দাওয়া তো রয়েছেই।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel