বিধানসভায় বাজেট পেশের পর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনা অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো হিসেব কষে বললেন, 'রাজ্যকে ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চনা করেছে কেন্দ্র। এখনও ৩৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা পাই। এত বঞ্চনার পরও রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে'। আশঙ্কা ছিলই। জেলার পর এবার কলকাতায়ও 'সেঞ্চুরি' হাঁকল পেট্রল। শেষ ৩৪ দিনে দাম বাড়ল  ৯.৬১ টাকা। পিছিয়ে নেই ডিজেলও। লিটার প্রতি নতুন দাম ৯২.৫০ টাকা। জ্বালানি দাম কমানোর আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। এদিন মমতা বলেন, পেট্রোপণ্য থেকে মোটা টাকা কর আদায় করেছে কেন্দ্র। সেকারণেই লাফিয়ে লাফিয়ে দামও বেড়েছে। সঙ্গে কটাক্ষ,  'শুধু মন্ত্রিসভা রদবদল করলেই হবে? জ্বালানির দাম কমানোর জন্য ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত।'

উল্লেখ্য, এর আগে পেট্রল, ডিজেলের (Diesel) দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রী টুইটে মোদি সরকারকে খোঁচাও দিয়েছে। বুধবারই অভিনব প্রতিবাদ করেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। সাইকেল চালিয়ে সিঙ্গুর থেকে বিধানসভায় পৌঁছন তিনি। কেষ্টপুরে রাস্তায় নামে গরুর গাড়িও। এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন বহু মানুষ। বারবার গতিরুদ্ধ হয়েছে বাসের (Bus) মতো গণপরিবহণের। তার ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বাসমালিকরা। এই পরিস্থিতিতে পরিবহণ ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় রাজ্য সরকারের। অতিমারি পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোড ট্যাক্স এবং অতিরিক্ত ট্যাক্স মকুবের প্রস্তাব রাজ্য বাজেটে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: