ফাইনালে রোলা গাঁরোয় ফেভারিট ছিলেন নাদালই। তাঁর বিপক্ষে প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন নরওয়ের ক্যাসপার রুড। খেললেন, কিন্তু জিততে পারলেন না।  দ্বিতীয় সেটে অবশ্য়  ৩-১ এগিয়ে গিয়েছিলেন রুড। এরপর নাদালের দাপুটে মেজাজের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন তিনি। স্প্যানিশ তারকার পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-৩, ৬-০। স্রেফ নিজের ১৪ তম ফরাসি ওপেন জয় নয়, এদিন সবচেয়ে বেশি বয়সে ক্লে কোর্টে খেতাব জেতারও নজির গড়লেন নাদাল। ২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে প্রথমবার প্যারিসে এই গ্র্যান্ড স্লামের পাশে নিজের নাম খোদাই করেছিলেন নাদাল। তারপর একে একে ১৪টি। কোনও মহিলা কিংবা পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় প্যারিসের ১৪টি খেতাব জেতেননি।

অন্যদিকে, গত রবিবারই প্যারিসের স্তাদ দ্য ফ্রাঁসে লিভারপুলকে হারিয়ে ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই রবিবার সেই একই শহরে ফরাসি ওপেন জিতলেন রাফায়েল নাদাল, যা তাঁর ১৪তম খেতাব। ঠিক এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রেমের শহরে এ এক আশ্চর্য সমাপতন! ঘটনাচক্রে, নাদাল নিজেও রিয়ালের অন্ধ ভক্ত। এমনকি, ফাইনালে প্রিয় দলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামেও হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন চতুর্থ রাউন্ডের কঠিন ম্যাচ থাকা সত্ত্বেও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ ভাবেই প্যারিস কোথাও যেন মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ এবং রাফায়েল নাদালকে। খেতাবজয়ের আনন্দের মধ্যে মিল থাকলেও, গত রবিবার এবং এই রবিবারের মধ্যে কিছু অমিল রয়েছে। সে দিন রিয়ালকে অনেক লড়াই করে জিততে হয়েছিল লিভারপুলের বিপক্ষে। এ দিন নাদালকে অবশ্য লড়াইয়ের ধারেকাছেও যেতে হল না। সরাসরি সেটে উড়িয়ে দিলেন বিপক্ষ ক্যাসপার রুদকে। গত রবিবার নাদাল দেখেছিলেন কী ভাবে প্রিয় দলকে প্রতিপক্ষের কাছে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই রবিবার টেনিস কোর্টে নাদাল ছিলেন ভয়ঙ্কর। প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেননি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: