১ মার্চ থেকে ইন্দোরের (Indore) হোলকার স্টেডিয়ামে (Holkar Stadium) বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) তৃতীয় টেস্ট (3rd Test)। যে পেস অ্যাটাক অস্ট্রেলিয়ার (Australia) গর্বের বিষয় তারই এখন ভগ্নদশা। জশ হ্যাজেলউড (Josh Hazelwood) চোট পেয়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) মায়ের অসুস্থতার জন্য ইন্দোর টেস্ট খেলতে পারবেন না। এই অবস্থায় একমাত্র বিকল্প বাঁ হাতি জোরে বোলার মিচেল স্টার্ক (Mitchell Stark)। তাঁরও আঙুলে চোট ছিল। তবে স্টার্ক বলছেন, তিনি খেলার জন্য প্রস্তুত।

তিনি বলেন, চোট এখন ঠিক আছে। খেলতে পারব। প্রথম এগারোয় নির্বাচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এটা টেস্ট ম্যাচ, অসুবিধে হবে না। চোট যতটা তাড়াতাড়ি সারবে আশা করেছিলাম তার থেকে একটু দেরি হয়েছে। তবে আমি এ ব্যাপারে ধৈর্যশীল। চোট সারার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তবে যেটুকে সেরেছে তাতে আরামসে খেলা যাবে। আশা করি দলের হয়ে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারব।

স্টার্ক জানিয়েছেন, তিনি দিল্লিতে (Delhi) দ্বিতীয় টেস্ট (2nd Test) খেলতেও প্রস্তুত ছিলেন। অজি পেসার বলেন, আগের সপ্তাহে আমার দরকার না হওয়ায় চোট সারার এবং প্রস্তুত হওয়ার জন্য আরও সময় পেয়েছি। আমি অবশ্যই অনুভব করেছিলেন শারীরিক এবং মানসিকভাবে আগের টেস্ট খেলার জন্য তৈরি ছিলাম। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় টেস্টে অভাবনীয় সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। এক পেসার এবং তিন স্পিনার খেলায় তারা, যে ঘটনা গত ১০০ বছরে দেখা যায়নি। উপমহাদেশের স্পিন সহায়ক পিচেও তারা বড়জোর দুই পেসার দুই স্পিনারে খেলেছে এতকাল।

তবে এই কৌশল খুব একটা কাজে দেয়নি এবং তার জন্য বোলার নয়, দায়ী ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রানে দুই উইকেট থেকে ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যান স্টিভ স্মিথরা (Steve Smith)। আর ১০০ রান করতে পারলে ভারতকে চাপে ফেলা যেত। কিন্তু অশ্বিন-জাদেজার স্পিনের জালে জড়িয়ে যায় গোটা ব্যাটিং লাইন আপ।

Find out more: