১) বাহারিন: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে এশিয়ার দেশ বাহারিন মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১৫ অগাস্ট। ভারতের স্বাধীবনতা পাওয়ার পর প্রায় দীর্ঘ দু দশক বাহারিন তাদের স্বাধীনতার লড়াই লড়ে। রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষায় দেখা যায় বাহারিনের অধিকাংশ মানুষ ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্ত হতে চাইছে। এরপর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে ১৯৬৩ সাল থেকে বাহারিন থেকে সেনা প্রত্যাহার কাজ শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। তবে পুরোপুরি স্বাধীনতা মেলে ১৯৭১ সালে। এবছর তাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। তবে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা পেলেও অবশ্য বাহারিনে এদিন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় না। বাহারিনে জাতীয় দিবস পালিত হয় ১৬ ডিসেম্বর। কারণ এই দিন ইসা বিন সলমন আল খলিফাকে রাজত্ব থেকে সরানো হয়। ইতিহাস অনুযায়ী, এই দ্বীপপুঞ্জ বহু শাসকের অধীনে ছিল। আরব থেকে পর্তুগিজ, তারপর ১৯ শতকে ব্রিটিশদের পরাধীন হয় বাহরিন।
২) দক্ষিণ কোরিয়া: ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট মার্কিন ও সোভিয়েত বাহিনী কোরিয়ান পেনিনসুলা থেকে জাপানের দখলদারী হটায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেদিন জাপান আত্মসমর্পণ করে। দিনটিকে গওয়াংবোকজিয়ল বলা হয়। এর তিন বছর পর স্বাধীন কোরিয়ান সরকার গঠন করা হয়েছিল।
৩) উত্তর কোরিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ার মত গণতন্ত্রহীন উত্তর কোরিয়াতেও ১৫ অগাস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। কারণটা একই
৪) লিশটেনস্টাইন: সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যে অবস্থিত এই দেশ ১৫ অগাস্ট দেশের জাতীয় দিবস পালন করে। এটি বিশ্বের ষষ্ঠ-ক্ষুদ্রতম দেশ। জার্মান ভাষায় কথা বলা এই দেশে ১৫ অগাস্ট হল জাতীয় দিবস। ১৮৬৬ সালের ১৫ অগাস্ট জার্মানির শাসন থেকে মুক্তি পায়। আর তাই এদিনটিকে তারা স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করে। এদিন সেদেশের রাজার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান লিখটেনস্টাইনবাসী। দেশের সম্মানীয় প্রিন্স ফ্রাঞ্জ জোসেফ II-জন্মদিন উপলক্ষ্যে পালিত হয় দিনটি।
৫) কঙ্গো: আফ্রিকার এই গরীবব দেশেও ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। ১৯৬০ সালে ফরাসি উপনিবেশের পতন হয়। ১৮৮০ সালে ফরাসি শাসন শুরু হয় এই দেশে। সাবেক নাম ছিল ফ্রেঞ্চ কঙ্গো। ১৯০৩ সালে নাম হয় মধ্য কঙ্গো
click and follow Indiaherald WhatsApp channel