দিল্লি যাওয়ার আগেই পেগাসাসকাণ্ডে একটি তদন্ত কমিটি গড়ে দিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার কী জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের বিষয়টিও নিয়েও তোলপাড় করতে চলেছে তৃণমূল? এমনটাই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। গত মাসে জৈন হাওয়ালা-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাগ্‌যুদ্ধের সময় প্রকাশ্যে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিনীত। ২৮ জুন মমতা অভিযোগ করেছিলেন, জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে রাজ্যপাল ধনখড়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে ধনখড় বলেন, ‘‘জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। হাওয়ালা চার্জশিটে আমার নাম ছিল না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তার কোনও সত্যতা নেই।’’

উল্লেখ্য, জৈন হাওয়ালা মামলায় এখনওপর্যন্ত কারও শাস্তি হয়নি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তিন দশক পুরনো জৈন হাওয়ালা মামলায় নাম রয়েছে জগদীপ ধনখড়ের। গত ২৮ জুন এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, সেই সময়কার এক সাংবাদিক আমাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। ওই মামলায় নাম ছিল জগদীপ ধনখড়ের। এখনও একটি রিট পিটিশন পড়ে রয়েছে। তাঁকে ধনখড়ের নাম রয়েছে। হাওয়ালা-কাণ্ড ফের সামনে আনার জন্য ভিডিয়ো-বার্তায় মমতাকে ধন্যবাদও জানান বিনীত। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি এই মামলা লড়ছি। হাওয়ালা-কাণ্ড শুধু দুর্নীতির বিষয় নয়, এর সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অর্থের জোগানও জড়িত।’’ জড়িত।’’ এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-বিনীত সাক্ষাৎ ঘিরে ফের সোমবার আলোচনায় চলে এসেছে হাওয়ালা-কাণ্ডে ‘ধনখড়-যোগের’ প্রসঙ্গ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: