আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে। শহর কলকাতাতেও আপমাত্রার পারদ ৪০ ছুঁই ছুঁই। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৪৬ থেকে ৮৮ শতাংশ।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এদিকে ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। উত্তর-পশ্চিমের শুকনো বাতাস বেশি করে বইবে। তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলি অর্থাৎ বাঁকুড়া পুরুলিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে পারদ ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে পারে।
এদিকে উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের নিচের দিকের জেলা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। আজ থেকে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই এই তিন জেলাতে। ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রার পারদ।
এদিকে ধেয়ে আসছে মোচা। এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল বাংলাদেশ ও মায়ানমার সংলগ্ন উপকূল এলাকায় হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মৌসম ভবন এখনও গতিপথ সুনিশ্চিত করেনি। আজ থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হবে। ক্রমশ বাড়বে এর তীব্রতা। বুধ- বৃহস্পতিবারে আন্দামানে প্রবল বৃষ্টি এবং দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত। রবিবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ।
আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরাখন্ড এবং হিমাচল প্রদেশে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, সিকিম, গুজরাট, তামিলনাডু, পন্ডিচেরি, করাইকাল, কেরালা, মাহে ও কর্নাটকে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel