আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতায় আজ থেকে আগামী তিন দিন অসহনীয় আবহাওয়া থাকবে। সঙ্গে থাকবে প্রবল অস্বস্তিকর পরিবেশ। এই অস্বস্তিসূচক চরমে উঠবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। বৃষ্টির সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলেই জানান হয়েছে। এদিকে, বর্ষার শ্লথ গতি চিন্তা বাড়াচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তার গতিবিধি উত্তরের সবকটি জেলায় সীমাবদ্ধ। দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পার্বত্য, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের পর গত ৭২ ঘন্টায় আর এগোয়নি বর্ষা। মালদা বাদে উত্তরের প্রায় সমস্ত জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি চলবে। এরমধ্যে পার্বত্য এলাকায় দু এক দফা এবং কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে একাধিক দফায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আজ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ আজ এবং বুধবার নদীয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বজ্র বিদ্যুত সহ দু এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷

অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, যে পাঁচটি স্বাস্থ্য জেলার ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে, সেটি হল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, বসিরহাট ও নন্দীগ্রাম। এই পাঁচ স্বাস্থ্য জেলায় সংক্রমণের হার অন্যান্য স্বাস্থ্য জেলার তুলনায় অনেকটা বেশি। ১ থেকে ৩ জুনের দেওয়া সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বসিরহাটে করোনা সংক্রমণের হার এক শতাংশের বেশি অর্থাৎ ১.‌১৬ শতাংশ। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার ০.‌৯৯ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরে সংক্রমণের হার ০.‌৭৩ শতাংশ। নন্দীগ্রামে সংক্রমণের হার ০.‌৭৮ শতাংশ। পশ্চিম বর্ধমানে সংক্রমণের হার ০.‌৫ শতাংশ। এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বিষয়ে প্রতিনিয়ত খবর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: