ঘূর্ণিঝড়ের জেরে চেন্নাইয়ে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১১৫ মিলিমিটার। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও শক্তি হারিয়ে মান্দাস নিম্নচাপে পরিণত হবে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়েছে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। এই কারণে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে বাংলা, বিহার, সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকার রাজ্যগুলিতে। হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, লাদাখের বেশ কিছু অঞ্চলে আজ তুষারপাত হতে পারে। এদিকে পশ্চিম উপকূলবর্তী রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটেও তাপমাত্রা বাড়বে আজ।

শনিবার আবার সামান্য বাড়ল শহরের তাপমাত্রা। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে। যদিও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আবহবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসে পরিণত হয়েছে। আর তার জেরে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব না থাকলেও, পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপের কারণেই বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। ফলে কমছে শীত। কলকাতার আকাশ মেঘাচ্ছন্নও থাকছে ওই নিম্নচাপের প্রভাবেই। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেই কনকনে শীত পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, এমনটাই আশা করছেন আবহবিদরা। আর তার ফলে বড়দিন এবং নতুন বছরে জমিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবে বাঙালি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: