একটা পিরিয়ড ফিল্ম তৈরি করতে গেলে সবথেকে বেশি যে জিনিসগুলির ওপর জোর দিতে হয়, সেগুলির মধ্যে প্রধান হল তার খুঁটিনাটির ওপর জোর দেওয়া। সেট, মিউজ়িক, চরিত্রদের লুক— সবটা নির্ভুল ভাবে করতে না পারলে কাহিনির ঐতিহাসিক ভিত্তিটাই নড়বড়ে হয়ে যায়। ‘জাতিস্মর’, ‘রাজকাহিনী’র পরে ‘গুমনামী’ সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আরও একটি পিরিয়ড ছবি।

পরিচালক সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন চরিত্রদের লুকের উপরে। নেতাজির চরিত্রে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের লুক তৈরির পিছনে অনেক রিসার্চ রয়েছে। ‘গুমনামী’তে মহাত্মা গাঁধী এবং জওহরলাল নেহরুর চরিত্রও রয়েছে। গাঁধীর ভূমিকায় সুরেন্দ্র রাজন। নেহরুর চরিত্রাভিনেতা সঞ্জয় গুরুবক্সানি অবশ্য ‘রাজকাহিনী’তেও একই চরিত্র করেছিলেন।

আর্ট ডিরেকসন করাটাও চরিত্রের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নয়। ‘‘নেতাজিকে নিয়ে যতগুলো ছবি হয়েছে, কোথাও প্লেন ক্র্যাশের অংশটা রিক্রিয়েট করা হয়নি। যে বইগুলো প্লেন ক্র্যাশের তত্ত্ব সমর্থন করে, সেখান থেকে ডিটেলস  পেয়েছিলাম,’’ বলছিলেন সৃজিত। বেহালা ফ্লায়িং ক্লাব, অন্ডাল এয়ারপোর্টে শুট করেছেন। কম্পিউটার গ্রাফিক্স, সেট... সবটা মিলিয়েই পরিচালক প্লেন ক্র্যাশের ঘটনাটা দেখিয়েছেন। 

আরও একটি জিনিস রিক্রিয়েট করতে হয়েছে। মুখার্জি কমিশনের হিয়ারিং হয়েছিল কলকাতা ও দিল্লিতে। কলকাতার মহাজাতি সদনে বসেছিল কমিশন। ‘‘আমরা মহাজাতি সদনেই শুট করি। ওখানে এমন একজনকে পাই, যিনি মুখার্জি কমিশনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন। উনি আর্ট ডিরেকশনের টিমকেও সাহায্য করেন।’’

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: