মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা এই দুই রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতায়। তবে এবার পালা বদলের সম্ভাবনা থাকলেও আগের বারের থেকে এবারে আসন বাড়ে কি না সেটাই দেখার। অন্তত বিভিন্ন এক্সিট পোল তাই বলছেষ প্রকৃত অর্থে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তিনটি রাজ্য হারিয়েছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই দুই নির্বাচনে বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

 

দুই রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চষে বেড়িয়েছেন। হাতিয়ার করেছেন জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 ধারা রদ। মহারাষ্ট্রে এটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে বড় অস্ত্র। খোদ অমিত শাহ নজর দিয়েছেন মাহারাষ্ট্রকে। শিবসেনার মতো দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় স্বস্তি গেরুয়া শিবিরে। এবার বিজেপি 288-র মধ্যে 150 আসনে প্রার্থী দিয়েছে। শিবসেনা দিয়েছে 124 আসনে প্রার্থী। বাকি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপির শরিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং আদিত্য ঠাকরে চষে বেড়িয়েছেন মারাঠা মুলিক। আবার এই প্রথম কেউ ঠাকরে পরিবার থেকে সরাসরি ভোটের ময়দানে নাম লিখিয়েছেন। যদিও আদিত্য ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মুখ করার চেষ্টা করেছিল শিবসেনা, কিন্তু বিজেপির আপত্তি থাকায় সম্ভবত সেই সম্ভাবনায় ইতি পড়েছে। উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ঠাকরে পরিবারের সদস্য।

 

অন্যদিকে, কংগ্রেস এনসিপি জোট বাঁধলেও কোনও ভাবেই প্রচারের ধার বাড়াতে পারেনি। বিজেপির তোলা ইস্যুকেই কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়েছে কংগ্রেস ও এনসিপি। এমনকী রোড শোও সেরকম ভাবে করতে পারেনি বিরোধ দুই দল।

 

এক্সিট পোলের রিপোর্ট অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে কোন দল কত আসন পেতে পারে দেখে নেওয়া যাক।

BJP : 135 – 142

SHIV SENA :  81-88

INC : 24-20

NCP :  30-35

OTHERS : 8-12

MNS :  0

AIMIM : 0-1

 

হরিয়ানার ক্ষেত্রেও খানিকটা এক। এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সাধারণত হয়ে রাজ্য স্তরে বিভিন্ন ইস্যুতে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার হিরায়ানা গিয়ে 370 ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সেই দিকে কতটা প্রভাব পড়বে তা দেখার। নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, ভারতের নদীগুলি দিয়ে যে জল পাকিস্তানে বয়ে যাচ্ছে তা তিনি হরিয়ানার চাষিদের দেবেন। এর জন্য সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা খরচ করা হবে। হরিয়ানার 90 আসনের মধ্যে কোন দল কত আসন পেতে পারে এক বার দেখে নেওয়া যাক –

 

BJP : 52-63

INC : 15-19

JJP : 5-9

INLD : 0-1

OTHERS : 7-10

 

 


Find out more: