মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান রাজ্যে সাতটি জায়গাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করে করোনা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা চলছে। এছাড়াও  রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও ৬১ থেকে বেড়ে ৬৯ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিন মমতার ওই বৈঠকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির ছিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যকে একাধিক পরামর্শও দেন তিনি।

 

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে নতুন করে আট জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪টি ক্ষেত্রে সংক্রমণ পারিবারিক’।’’ মমতার বক্তব্য, ‘‘ এ রাজ্যে পারিবারিক ভাবে সংক্রমণের শিকার হওয়ার সংখ্যা বেশি হচ্ছে।’’ রাজ্যে করোনার প্রকোপ নিয়ে একটি মানচিত্র তৈরি করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলার অন্তত সাতটি জায়গায় সীমাবদ্ধ রয়েছে করোনা। এই সময়েই লক্ষ্মণরেখা টানতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়েই আছে।

 

রাজ্যের তৈরি করা ‘গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর মাথায় রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন তিনি। বৈঠকে তিনি পরামর্শ দেন, ‘‘ বাজারে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক  হোক। বাজারে প্রবেশের সময় স্যানিটাইজেশন বা নিদেন পক্ষে সাবানজলের ব্যবস্থা করা হোক।’’ অভিজিতের বক্তব্য, ‘‘কিছু ছোট ছোট জিনিস খেয়াল করলেই সংক্রমণ অনেকটাই রোখা যাবে।’’

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: